বিশেষ খবর ডেস্ক: পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা পরিষদ পুনর্গঠন করা হয়। এ নিয়ে অনেক জল্পনা কল্পনা অবসান ঘটিয়ে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন করল আর্ন্তবর্তীকালীন সরকার। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ আইনে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান নিয়োগ পেয়েছেন কাজল তালুকদার। বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান নিয়োগ পেয়েছেন থানজামা লুসাই। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান নিয়োগ পেয়েছেন জিরুনা ত্রিপুরা। তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের মধ্যে প্রতি পার্বত্য জেলা পরিষদে ১৪ জন সদস্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা যায়, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন ১৯৮৯ ও রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন ১৯৯৭ এর ১৬ ক। (৪) উপধারা এবং রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন ২০১৪ এর ৪(২) উপধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্ন্তবর্তীকালীন পরিষদ পুনর্গঠন করে। এ প্রজ্ঞাপনে গত ১০ ডিসেম্বর ২০২০ খ্রি: তারিখের প্রজ্ঞাপন দ্বারা গঠিত তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ বাতিল করা হয়।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ: চেয়ারম্যান থানজামা লুসাই, সদস্য রাজুময় তঞ্চঙ্গ্যা, ম্যা ম্যা নু মারমা, উবাথোয়াই মারমা, উমচিং মারমা, খামলাই ম্রো, মং এচিং চাক, সানাই প্রু ত্রিপুরা, লাল জারলম বম, নাংফ্রা খুমী, সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, ম ুহাম্মদ আবুল কালাম, মাধবী মারমা ও খুরশিদা ইসহাক।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ: চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার, সদস্য দেব প্রসাদ দেওয়ান, প্রনতি রঞ্জন খীসা, প্রতুল চন্দ্র দেওয়ান, বরুন বিকাশ দেওয়ান, ক্যওসিংমং মারমা, নাইউ প্রু মারমা, ড্যানিয়েল লাল মুয়ান সাং পাংখোয়া, রাঙাবী তঞ্চঙ্গ্যা, সাগরিকা রোয়াজা, দয়াল দাশ, মো: হাবীব আজম, মিনহাজ মুরশীদ, বৈশালী চাকমা ও লুৎফুন্নেসা বেগম।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ: চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা, সদস্য বঙ্গমিত্র চাকমা, অনিময় চাকমা, নিটোল মনি চাকমা, কংজপ্রু মারমা, কুমার সুইচিংপ্রু সাইন, সাথোয়াই প্রু চৌধুরী, ধনেশ্বর ত্রিপুরা, শেফালিকা ত্রিপুরা, প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা, মো: শহিদুল ইসলাম সুমন, আবদুল লতিফ, মো: মাহবুবুল আলম, জয়া ত্রিপুরা ও মনজিলা সুলতানা।
গত ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার গণআন্দোলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগে আওয়মী লীগ সরকারের পতন ঘটে। পরে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার পর পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যরা পলাতক রয়েছে। এর পর দেশজুড়ে নৈরাজ্য পরিস্থিতির মধ্যে নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বতীকালীন সরকারের যাত্রা শুরু হয়।