আন্তর্জাতিক ডেস্ক: থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। রোববার (১৮ আগস্ট) দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি। তিনি থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ধনকুবের থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে। এর আগে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দেশটির পার্লামেন্ট। পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে পেতংতার্নের পক্ষে ৩১৯ টি ভোট পড়ে। আর বিপক্ষে ভোট পড়ে ১৪৫ টি ভোট। পেতংতার্ন হলেন গত দুই দশকে সিনাওয়াত্রা পরিবার থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়া চতুর্থ ব্যক্তি। অবশ্য তার বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা ও ফুপু ইংলাক সিনাওয়াত্রাসহ অপর তিনজন সামরিক অভ্যুত্থান বা সাংবিধানিক আদালতের রায়ে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পার্লামেন্ট নির্বাচিত হওয়ার দুদিন পর থাইল্যান্ডের রাজা পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করেছেন। এরপর থাইল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী শপথ নেন ৩৭ বছর বয়সী পেতংতার্ন। এর আগে পেতংতার্নের ফুফু ইংলাক সিনাওয়াত্রা থাইল্যান্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করেছেন। থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার দু’দিন পর পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করা হয়। তাদের দুজনে ফেউ থাই পার্টির নেতা। ২০২৩ সালের নির্বাচনে ফেউ থাই পার্টি দ্বিতীয় হয়ে এবং ক্ষমতাসীন জোট গঠন করেছিল।
প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হওয়ার পর পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা বলেন, আমি সত্যি আশা করি, আমি মানুষের মাঝে আত্মবিশ্বাস পুনঃস্থাপন করে দিতে পারবো। সকল থাই জনগণের জীবনমানের উন্নয়নে আমরা সুযোগ তৈরি করতে পারি।
থাইল্যান্ডের স্কুল এবং যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন পেতংতার্ন। সিনাওয়াত্রা পরিবারের মালিকানাধীন রেন্ডে হোটেল শিল্প গোষ্ঠীতে কয়েক বছর কাজ করেছেন তিনি। তার স্বামী এ শিল্প গোষ্ঠীর উপ-প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা নিযুক্ত রয়েছেন। ২০২১ সালে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা ফেউ থাই পার্টিতে যোগ দেন এবং ২০২৩ সালের দলের নেতা হিসাবে নিযুক্ত হন। তার এ নিয়োগ থাইল্যান্ডের শীর্ষ নেতৃত্বে নতুন শক্তি এনেছে।