আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান চলছে টানা দুই বছরের বেশি সময় ধরে।রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু থেকে ইউক্রেনকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। ইউক্রেনীয় বাহিনী পশ্চিমাদের দেওয়া বিভিন্ন অস্ত্র রাশিয়ার সেনাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। ইউক্রেন অবশ্য এসব অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভেতরে হামলা চালাতে চায়। এমন অবস্থায় কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পশ্চিমা অস্ত্র রাশিয়ায় আঘাত হানলে তার পরিণতি হবে গুরুতর এ হুশিয়ারী করেন পুতিন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
এএফপি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিয়েভের চাওয়া অনুযায়ী পশ্চিমা দেশগুলো যদি ইউক্রেনকে রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে হামলার করতে তাদের অস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দেয় তাহলে তার ‘গুরুতর পরিণতি’ ভোগ করতে হবে বলে মঙ্গলবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। প্রেসিডেন্ট পুতিন এমন এক সময়ে এ মন্তব্য করলেন যখন সামরিক জোট ন্যাটোর কিছু সদস্য দেশের পাশাপাশি জোটের প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ ইউক্রেনকে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালানোর জন্য পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
উজবেকিস্তান সফরকালে পুতিন বলেন, সংঘাতের এ ক্রমাগত বৃদ্ধি গুরুতর পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। ইউরোপে, বিশেষত ছোট দেশগুলোতে, তারা কী নিয়ে খেলছে সে সম্পর্কে তাদের সচেতন হওয়া উচিত। তিনি বলেন, এমন অনেক ইউরোপীয় দেশ রয়েছে যারা ‘আয়তনে ছোট’ এবং সেসব দেশের ‘ঘনবসতিপূর্ণ জনসংখ্যা’ রয়েছে। রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে আঘাত করার কথা বলার আগে এ বাস্তবতাটি তাদের মনে রাখা উচিত, এটি গুরুতর বিষয়। ইউক্রেনের বাহিনী হামলা চালালে তার দায়ভার পশ্চিমা অস্ত্র সরবরাহকারীদের ওপর বর্তাবে।
প্রেসিডেন্ট পুতিন আরও বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন পশ্চিমা সামরিক প্রশিক্ষকরা ইতোমধ্যে ইউক্রেনে ভাড়াটে হিসাবে গোপনে কাজ করছে। পশ্চিমা দেশগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সেনাদের ইউক্রেনে পাঠানোর কোন পদক্ষেপ নিলে তা সংঘাতের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেবে এবং ইউরোপকে গুরুতর সংঘাতের দিকে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সেটি হবে বৈশ্বিক সংঘাতের দিকে আরেকটি পদক্ষেপ।
এর আগে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছিলেন, রাশিয়ান সামরিক ঘাঁটিগুলোকে ‘অকার্যকর’ করতে ইউক্রেনকে অনুমতি দেওয়া উচিত। মূলত এসব ঘাঁটি থেকে রুশ সৈন্যরা ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে। এছাড়া বিশ্বকে যুদ্ধে ক্লান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইইউ দেশগুলো ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্লকওয়াইড মিশনের অধীনে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইউক্রেনের বাইরে ৫০ হাজার ইউক্রেনীয় সেনাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।