জাতীয় ডেস্ক: উপজেলা পরিষদের ষষ্ঠ বারে প্রথম ধাপের নির্বাচনে প্রার্থীর কোনো আজ্ঞাবহ কর্মকর্তাকে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয়া যাবে না, জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি প্রার্থীর অধীনে চাকরিরত বা অতীতে অধীন ছিলেন, এমন কাউকে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা পদে নিয়োগ করা যাবে না। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন। এ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, ভোটকেন্দ্রে দক্ষতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠান নির্বাচন প্রক্রিয়ার সফল ও সার্থক প্রতিফলন ঘটে। ফলে ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। এ লক্ষ্যে উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন কর্মকর্তাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া সমীচীন বিষয়ে নির্বাচন কমিশন মনে করে। নির্বাচন কমিশন আশা করে যে, যেহেতু দেশের উপজেলাসমূহ ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা সীমিত, সেহেতু সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রশাসনিক ক্ষমতা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, নিরপেক্ষতার প্রতি লক্ষ্য রেখে এরূপ দায়িত্ববান কর্মকর্তাদের মধ্যে হতে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসার নিয়োগ করার জন্য বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অধীন বা পক্ষে চাকরিতে নিয়োজিত থাকেন বা কোনো সময় নিয়োজিত ছিলেন, তবে তাকে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার বা পোলিং অফিসার নিয়োগ করা যাবে না। এছাড়া অন্য কোনো কর্মকর্তা সম্পর্কে আপত্তি উত্থাপিত হলে তাও বিবেচনা করতে হবে।
আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে। মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫ টি।