বিশেষ খবর ডেস্ক: সারা দেশে পেঁয়াজের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীসহ ২৪ জেলায় অভিযান চালিয়ে ৯৩ প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগরসহ দেশের সব বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে পেঁয়াজের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করে। ঢাকা মহানগরীতে অধিদপ্তরের তিনটি টিম বাজার তদারকি করে। এ ছাড়া অন্যান্য বিভাগীয় শহরসহ দেশের ৩৯ টি জেলায় একযোগে এ তদারকি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। অভিযানের সময় অধিদপ্তরের ৪১টি টিম তদারকির মাধ্যমে ৯৩ টি প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করে। অধিদপ্তরের তদারকি কার্যক্রমের ফলে বাজারে পেঁয়াজের মূল্য হ্রাস পাচ্ছে এবং সরবরাহ স্বাভাবিক হচ্ছে। ভোক্তার অধিকার রক্ষায় অধিদপ্তরের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
জানা যায়, বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। এ খবরের ২৪ ঘন্টার মধ্যে বড় ব্যবসায়ী সেন্ডিকেট পেঁয়াজ সর্বরাহ বন্ধ করে দেয়। সারাদেশের বাজার থেকে উধাও হয়ে যায় পেঁয়াজ। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বাজার থেকে তুলে নেয় পেঁয়াজ। দেখা দেয় পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট। বৃদ্ধি হতে থাকে নিয়ন্ত্রণহীন পেঁয়াজের মূল্য। এ সুযোগে ২৫০ টাকার উপড়ে পেঁয়াজ বিক্রি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা। পেঁয়াজের লুকোচুরি খেলায় বিপাকে পড়েছে জনসাধারন।
দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে ভারত সরকার আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করার এ পদক্ষেপ নিয়েছে। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দেওয়া এক আদেশে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, পেঁয়াজের রপ্তানি নীতি ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ডিজিএফটি বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে, তা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অনুরোধের পর কেন্দ্রীয় সরকার থেকে দেওয়া প্রদত্ত অনুমতির ভিত্তিতে।