স্টাফ রিপোর্টার, বান্দরবান: বান্দরবানে আলীকদম উপজেলায় অবৈধ এফবিএম ইট ভাটায় অভিযানে কাজ বন্ধ করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। এফবিএম ইট ভাটায় নেই কোন পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। ক্ষমতা দাপটে ও গায়ের জোরে জেলা প্রশাসনের ইট ভাটার লাইসেন্স ছাড়া অবৈধভাবে এফবিএম ইট ভাটা পরিচালনা করছে মালিক শওকত আলী তালুকদার। বুধবার (২২ নভেম্বর) পান বাজার এলাকায় আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে অভিযান পরিচালনা করেন ভূমি অফিসের এসিল্যান্ড মো: জিল্লুর রহমান।

            জানা যায়, জেলা প্রশাসকের আদেশে অবৈধ এফবিএম ইট ভাটায় লাল রঙের সাইন বোর্ড টাঙানো হয়। আদেশে লেখা হয়, হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নম্বর ১২০৪/২০২২ মূলে অবৈধ এফবিএম ইট ভাটা বন্ধ ঘোষণা করা হলো। কিন্তু আদালতের রায় ও প্রশাসনের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে টাঙানো সাইন বোর্ডের পাশে অবৈধ এফবিএম ইট ভাটার কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের আদেশ অমান্য করায় আলীকদমে অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ এফবিএম ইটের ভাটা বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এ সময় এফবিএম ইট ভাটার মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, আনুমানিক ২০ হাজার কাঁচা ইট পানি দিয়ে ধ্বংস এবং চুল্লিতে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় পানি ঢেলে চুল্লিতে আগুণ বন্ধ করে দেয়া হয়।

            এফবিএম ইট ভাটার মালিক শওকত আলী তালুদকার বলেন, তিনি হাইকোর্ট থেকে একটি আদেশ পেয়ে ইট ভাটার কার্যক্রম চালু করেন। এ সংক্রান্ত আদেশের কপি জেলা প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে।

            উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: জিল্লুর রহমান বলেন, পরিবেশ রক্ষা ও ইট ভাটা নিয়ন্ত্রণ ২০১৩ সালের ইট ভাটা আইনের লঙ্ঘন করায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও ফায়ার সার্ভিরে সাহায্যে পানি দিয়ে চুল্লির আগুণ নিভানো হয়েছে। একই সাথে ইট ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়।

            ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৩ লঙ্ঘন করে কার্যক্রম চালানো হচ্ছিল এফবিএম ইটের ভাটায়। গত বছর জেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে অবৈধ ভাটার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে। টাঙানো হয়েছিল লাল সাইনবোর্ড। সম্প্রতি তারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইটভাটার কার্যক্রম শুরু করেছিল। কোন ব্যক্তি ইট ভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে জ্বালানি হিসেবে কোন কাঠ ব্যবহার করতে পারবে না। এ আইনের ৪ ধারায় জেলা প্রশাসকের নিকট হতে লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতিরেকে কোন ব্যক্তি ইট প্রস্তুত করতে পারবেন না। ইট ভাটার মালিক লাইসেন্স গ্রহণ করেননি। আইন অমান্য করে সরকারি বনায়নের পাছে, কৃষি জমির টপ সয়েল, পাহাড় বা টিলা থেকে মাটি কেটে সংগ্রহ করে ইটের কাঁচামাল ব্যবহার করা হচ্ছে। গ্রামীণ সড়ক ব্যবহার করে ইটের কাঁচামাল পরিবহন ও রিজার্ভ এলাকার কাছাকাছি ইট ভাটা স্থাপন করে কয়লার পরিবর্তে লাকড়ি ব্যবহার করা হচ্ছিল।

খবরটি 579 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen