স্টাফ রিপোর্টার, বান্দরবান: বান্দরবান সদর উপজেলার ক্যামলং মকছুদ কোম্পানির মালিকানাধীন ইট ভাটার অপহৃত ম্যানেজার মো: ইউসুফ (৪৫) উদ্ধার করে স্থানীয় জনতা ও পুলিশ। বুধবার (৬ সেপ্টম্বর) বেলা ১১ টার দিকে সদর উপজেলার ক্যামলং সোনাই ঝিরি এলাকা থেকে ইউসুফকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় অস্ত্র ও বিভিন্ন সরঞ্জামসহ অপহরণকারী দলের ৩ সদস্যকে আটক করা হয়। আটক অপহরণকারী দলের সদস্যরা হল মংক্যচিং মারমা (২৬), চহ্লা মারমা (৩৫) ও সানি মারমা (৩২)। উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও সরঞ্জামের মধ্যে ২ টি দেশীয় তৈরি এলজি বন্ধুক, ২ রাউন্ড কার্তুজ, ওয়াকিটকি ও ৫ টি মোবাইল রয়েছে। এদিকে জনতার হাতে অপহৃত উদ্ধার এবং অস্ত্রসহ ৩ অপহরণকারী দলের সদস্য আটকের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এ সময় স্থানীয়রা উদ্ধার হওয়া ম্যানেজার, আটক ৩ অপহরণকারী দলের সদস্য ও অস্ত্র পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টার দিকে ক্যামলং ইট ভাটার অফিস থেকে ৭/৮ জন পাহাড়ি যুবক অস্ত্রের মুখে ম্যানেজার মো: ইউসুফকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণের পর মংক্যচিং মারমা নামে এক অপহরণকারী আটক করে জনতা। তার দেহ তল্লাশি করে অপহৃত ম্যানেজারের ব্যবহৃত মোবাইল উদ্ধার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে স্থানীয়রা সোনাই ঝিরি পাহাড় ঘেরাও করে তল্লাশি শুরু করে। এক পর্যায়ে পাহাড় থেকে বন্দি অবস্থায় অপহৃত ম্যানেজার মো: ইউসুফকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অস্ত্র ও বিভিন্ন সরঞ্জাম অপহরণকারী দলের আরো ২ সদস্যকে আটক করা হয়।
আটক অপহরণকারী দলের সদস্য মংক্যচিং মারমা অপহরণের দ্বায় স্বীকার করে বলে, তাদের ৬ সদস্য বিশিষ্ট শসস্ত্র দলে আটক ৩ জন ছাড়া মংহ্লাচিং মারমা, মেদু মারমা ও সুইচিং মারমা নামে আরো ৩ জন রয়েছে। তাদের দলের নেতা সুইচিং মারমা। তার বাড়ি রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলায়। এ দলের অন্যান্য সদস্যদের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি ও মানিকছড়ি উপজেলায়।
বান্দরবান সদর থানা পুলিশের এস আই মো: আলমগীর জানান, স্থানীয় জনতা কর্তৃক অপহৃত ম্যানেজারকে উদ্ধার ও সাথে অস্ত্রসহ ৩ অপহরণকারীকে আটকের সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। স্থানীয়রা উদ্ধার হওয়া ম্যানেজার মো: ইউসুফ ও অস্ত্রসহ ৩ অপহরণকারীকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। অভিযোগ ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।