ব্রেকিং নিউজ:

বিনোদন ডেস্ক: দেশজুড়ে ক্যাসিনো ও জুয়াকে বৈধ করতে নতুন আইন করছে থাইল্যান্ডের মন্ত্রিসভা। রাজধানী ব্যাংককে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। দেশটির প্রধান অর্থনৈতিক খাত পর্যটনকে আরও শক্তিশালী করা এবং এ খাতে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়াতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। থাইল্যান্ডের আইনে ক্যাসিনো এবং সে সঙ্গে অধিকাংশ জুয়া নিষিদ্ধ। তবে দেশটিতে ফুটবল ও বিভিন্ন খেলায় বাজি ধরা এবং লটারির প্রচলন ব্যাপক। ফলে দেশটিতে এক প্রকার জুয়া খেলা হচ্ছে ঠিক, কিন্তু সরকার সেখান থেকে কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না। বর্তমান আইনে অবশ্য ঘোড়দৌড় বৈধ জুয়া হিসেবে স্বীকৃত এবং এ খাত থেকে সরকার রাজস্ব আদায় করে। কিন্তু বিভিন্ন খেলায় বাজি ও লটারির মাধ্যমে প্রতিদিন যে পরিমান অর্থের লেনদেন হয় থাইল্যান্ডে। তার কাছে এ রাজস্ব একেবারে নগন্য।

            বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিসভা ইতোমধ্যে আইনটির খসড়া প্রস্তুত করেছে। পার্লামেন্টের আগামী অধিবেশনে খসড়াটি তোলা হবে। তারপর এমপিদের মতামত অনুযায়ী খসড়াটির সংশোধিত ও চূড়ান্ত অনুলিপি পাঠানো হবে রাজার কাছে। রাজা সেটিতে সাক্ষর করলে আইনে পরিণত হবে খসড়াটি। তাছাড়া বর্তমানে সরকারি আইনকে ফাঁকি দিয়ে যে সব জুয়া খেলা হয় থাইল্যান্ডে। সেগুলোতে দেশটির নাগরিক ও বাসিন্দারা অংশ নিতে পারলে পর্যটকদের সেভাবে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই। ক্যাসিনো ও জুয়াকে বৈধ করার সিদ্ধান্তের পেছনে এটি একটি বড় কারণ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী পেতংতান।

            দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ থাইল্যান্ড এবং দেশটির বিদেশি মুদ্রা অর্জনের প্রধান খাত পর্যটন। করোনার পর থেকে দেশটিতে পর্যটকদের আগমণ বাড়ছে এবং এ প্রবণতা সামনের আরও কয়েক বছর থাকবে এ আশা করা হচ্ছে। থাইল্যান্ডের প্রতিবেশী কম্বোডিয়া, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, লাউস, মিয়ানমার জুয়া এবং ক্যাসিনোকে আইনগত বৈধতা প্রদান করে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা বলেন, “আমদের দেশে আইনটি প্রণয়ন করা হলে সেটি একদিকে যেমন অবৈধ জুয়াড়িদের থেকে জনগণকে সুরক্ষা দেবে, তেমনি অন্যদিকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রাজস্বও রাষ্ট্রীয় অর্থনীতিতে যোগ হবে।”

সূত্র: রয়টার্স

খবরটি 10 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন