মো: তুহিন হোসাইন, স্টাফ রিপোর্টার, বান্দরবান: বান্দরবানে পার্বত্য শান্তি চুক্তির অগ্রযাত্রার ২৭ তম বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার (০২ ডিসেম্বর) সকালে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভ আয়োজন করা হয়েছে। আলোচনা সভর শেষে সাংস্কৃতি অনুষ্ঠার আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ও সহযোদিতা করে বান্দরবান রিজিয়ন। এ অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান (পিএসসি)।
এ সময় বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের দীর্ঘদিনের জাতিগত হানাহানি বন্ধ হয়। অনগ্রসর ও অনুন্নত পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ও উন্নয়নের ধারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন যারা পাহাড়কে অশান্তি করার চেষ্টা করতেছে তারা কোনো জাতির বন্ধু হতে পারে না, তারা দেশের শত্রু, সন্ত্রাসী। যারা দেশকে অজারকতা করার চেষ্টা করবে বা যারা করতেছে তাদেকে আমরা কঠোর ভাবে দমন করবো। অশা করি পার্বত্য শান্তি চুক্তি পুর্ণ বাস্তবায়ন হলে গড়ে উঠবে সম্প্রীতির বন্ধন।
এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই। বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম মনজুরুল হক, পুলিশ সুপার মো: শহীদুল্লাহ কাওছার। আরো উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য মাধবী মারমা, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের ২৭ বছর। দীর্ঘদিন ধরে চলমান পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘাতময় পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটির সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর কোনো তৃতীয় পক্ষ বা বহিঃশক্তির মধ্যস্থতা ছাড়া তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে এ ঐতিহাসিক শান্তির দলিলটি স্বাক্ষরিত হয়। শান্তি চুক্তিতে সর্বোমোট ৭২ টি ধারা রয়েছে। ৭২ টি ধারার মধ্যে শান্তি চুক্তির ৬৫টি ধারা বাস্তবায়িত হয়েছে। অবশিষ্ট ধারার বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।