ব্রেকিং নিউজ:

পুষ্পেন চৌধুরী, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম): এশিয়ান হাতির অন্যতম প্রাকৃতিক প্রজনন কেন্দ্র চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যকে সরকারী-বেসরকারী সকল পক্ষকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। চুনতি অভয়ারণ্যের ভেতর বৃক্ষ নিধন, মাটিকাটা ও খাল দখল প্রতিরোধে প্রশাসনকে আরো বেশী ভূমিকা রাখতে হবে। এছাড়া অভয়ারণ্যের ভেতর অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে উচ্ছেদ করতে হবে। পাশাপাশি বনের ভেতর রেলপথ নির্মাণের কারনে বন ও বন্যপ্রাণীর যে ক্ষতি হয়েছে তা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। চট্টগ্রাম জিইসি মোড়এলাকায় স্থানীয় রেস্তোরায় বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) উদ্যোগে আয়োজিত এ আলোচনা সভায়একথা বলেন বক্তারা।

            বেলার চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক মুনিরা পারভীন রূবা সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, কাজল তালুকদার, নূরজাহান বেগম ও চুনতি অভয়ারণ্যের রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসাইন, চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মইনুদ্দিন ফয়সাল। এছাড়া অধ্যাপক শফিক, পরিবেশকর্মী সানজিদা রহমান, আমির আহমদ খান। এছাড়া চুনতি অভয়ারণ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির (সিএমসি) সদস্য আবুল ফয়েজ, মামুনর রশিদ ফাহিম, নজরুল ইসলাম মানিক প্রমুখ।

            সভায় বক্তারা আরো বলেন, অভয়ারণ্যে ঘিরে যেসব ইটভাটা রয়েছে তা অবিলম্বে বন্ধকরতে হবে। বন্যপ্রাণী রক্ষায় দেশীয় জাতের গাছ ও ফলদ গাছ রোপন করতে হবে। অভয়াণ্যের ভেতর থাকা ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গাগুলো অধিগ্রহণ করতে হবে। এছাড়া হাতি চলাচলের রাস্তা আরো সম্প্রসারণ ও বৃদ্ধি করতে হবে। পাশাপাশি পুরো অভায়ারণ্য এলাকা চিহ্নিত করে সাধারন মানুষের যাতায়াত সংকুচিত করতে হবে। সভায় বন বিভাগের লোকবল বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

            সভায় চট্টগ্রাম বেলা কার্যালয়ের ফারমীন ইলাহী, তমিজ উদ্দিন আহমদ, নেটওয়ার্ক সদস্য পুষ্পেন চৌধুরীসহ বিভিন্ন গনমাধ্যমকর্মী এইচ এম জসিম উদ্দিন, মিনহাজ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

খবরটি 355 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন