ফিচার ডেস্ক: সিঙ্গাপুরের নারী উ মে হো। যিনি নিজেকে গড উইমেন দাবি করেন। দেবতার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারেন সিঙ্গাপুরের এ বাসিন্দা। তিনি নিজে স্বয়ং একজন দেবতা। এসব কথা রটিয়ে তৈরি করেছেন বহু ভক্ত, মানুষের সঙ্গে করেছেন প্রতারণা। সম্প্রতি এ দেবতা নারীকে ১০ বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত।

            ভারতীয় গণমাধ্যম জিনিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতারণা এবং মানুষের বিশ্বাসকে আঘাত করা আরও ৫ অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এ নারীকে। গত সপ্তাহে তাকে সাড়ে ১০ বছরের জন্য কারাগারে পাঠানো হয়। অভিযোগ উঠেছে, এ নারী তার ভক্তদের মল খেতে বাধ্য করেন। একই সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে ২০১২ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে এ নারী প্রায় ৪৪ কোটি টাকা হাতিয়েছেন। উ মে হো ভারতীয় আধ্যাত্মিক নেতা শ্রী শক্তি নারায়ণী আম্মায় বিশ্বাসী। যিনি ভারতে প্রায় ৩০ জন অনুসারীর একটি দলের নেতৃত্ব দেন। অনুসারীদের মধ্যে ১০ জনকে তার সঙ্গে রাখতেন। যেন তারা সব সময়ের জন্য এ নারীর সেবা করতে পারে।

            ২০২০ সালের মাঝামাঝিতে কয়েকজন অনুসারী উ মে হোর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। শারীরিক নির্যাতন, টাকা হাতিয়ে নেওয়া একাধিক অভিযোগ করা হয়। পরে ২০২০ সালের অক্টোবরে একে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা হয়।

            কে এ নারী গডওম্যান উ মে হো: সিঙ্গাপুরে ৫৪ বছরের নারী উ মে হো। নিজেকে স্বয়ং দেবতা গডওম্যান’ পরিচয় দিতেন। যিনি সিঙ্গাপুরের বাসিন্দা। তার অনুরাগীদের মগজ ধোলাই করেছিলেন। তিনি স্বয়ং একজন দেবতা। তিনি দেবতার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারেন ও দিতে পারেন। এ কথাও রটিয়েছিলেন। এ বলে ২০১২ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে অনুগামীদের কাছ থেকে হাতিয়েছেন প্রায় ৪৪ কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, কথা অমান্য করলে দিতে কঠোর শাস্তি। কাঁচি দিয়ে ছুরিকাঘাত করা, প্লাস দিয়ে দাঁত বের করা, মানুষের মল খেতে বাধ্য করা এবং একটি বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলা থেকে লাফ দিতে বাধ্য করা।

            উ মে হো ভারতীয় আধ্যাত্মিক নেতা শ্রী শক্তি নারায়ণী আম্মায় বিশ্বাসী। যিনি ভারতে প্রায় ৩০ জন অনুসারীর একটি দলের নেতৃত্ব দেন। ২০১২ সাল থেকে প্রায় আট বছর ধরে এ গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তার তথাকথিত আধ্যাত্মিক সেশনের সময় তাদের বোঝান যে তিনি দেবতা এবং আত্মার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন এবং তাদেরকে তাকে ‘প্রভু’ বলে ডাকতে বলেছিলেন। এমনকি এ মহিলা তার ভক্তদের কত পরিমাণ সম্পত্তি আছে, তা বলার জন্য বাধ্য করতেন। ২০১২ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে এ মহিলা প্রায় ৪৪ কোটি টাকা হাতিয়েছু।

            তার অনুগামীদের মধ্যে ১০ জনকে তার সঙ্গে রেখেছিলেন। যাতে তারা সারা সব সময়ের জন্য সেবা করতে পারে। যদি কোন অনুগামী দল ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। উ তাদের অসংখ্য কল এবং হুমকি দিয়ে হয়রানি করত। যার ফলে তারা ভয়ে ফিরে আসে এবং কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হয়। দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সে একজন ৪৩ বছর বয়সী সিঙ্গাপুরের মহিলা। তার চোখ ধোয়ার জন্য এবং তরল পান করার জন্য কিছু ‘পবিত্র জল’ দিয়েছিল এবং তাকে সরাসরি সূর্যের দিকে তাকাতে নির্দেশ দেয়। যা ফলস্বরূপ সময়ের সঙ্গে ওই মহিলা তার দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলে।  অবশেষে ২০২০-র অক্টোবরে উ মে হো ভারতে গ্রেফতার করা হয়।

             এ মহিলাকে প্রতারণা এবং মানুষের বিশ্বাসকে আঘাত করা সহ আরও ৫ অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। গত সপ্তাহে তাকে সাড়ে ১০ বছরের জন্য কারাগারে পাঠানো হয়।

খবরটি 295 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen