ব্রেকিং নিউজ:

জাতীয় ডেস্ক: দেশের রাজধানীর ঢাকায় শাহবাগ মোড় অবরোধ করে সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীরা। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুর ১২ টা থেকে শুরু হওয়া এ অবরোধ সন্ধ্যা ৬ টায় প্রত্যাহার করা হয়েছে। দীর্ঘ সময় সড়ক অবরোধ থাকার কারণে রাজধানীর শাহবাগ ও আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দেয়। আন্দোলনকারীরা রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হওয়া শুরু করে। এর আগে শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে থেকে মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর-টিএসসি হয়ে শাহবাগ মোড়ে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।

            শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিয়ে মিছিলসহ রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন। এ সময় তারা নতুন করে দুই দুদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কমসূচির মধ্যে রয়েছে শুক্রবার অনলাইন-অফলাইনে বৈঠক, শনিবার বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল এবং রোববার সব কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনসহ অবস্থান ধর্মঘট।

            আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ১৯৭১ সালে বৈষম্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হয়েছিল। কিন্তু এ কোটা পদ্ধতির ফলে চাষার ছেলে চাষা, রাজমিস্ত্রির ছেলে রাজমিস্ত্রি, মজুরের ছেলে মজুর থেকে যাবে। আমরা একই প্রশ্নে পরীক্ষা দেব, একই প্রশ্নে রিটেন লিখব, একই প্রশ্নে ভাইভার মুখোমুখি হব। কিন্তু তারা কোটা সুবিধার কারণে একাই সুবিধা পাবে সেটা মেনে নেওয়া যায় না। সরকার যেখানে কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছে সেখানে কোন অদৃশ্য শক্তিবলে এ কোটা বহাল করা হয়। আমরা এ অদৃশ্য শক্তির হাত গুঁড়িয়ে দেব।

            আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, হাইকোর্ট শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রহসন করছে। তারা পুনরায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুক এবং শিক্ষার্থীদের দাবি বিবেচনা করুক। আমরা হাইকোর্টের বিরুদ্ধে না। তারা নিজেদের মতো কাজ করে যাবে কিন্তু আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের দাবি আদায় করে ঘরে ফিরব। তিনি আরও বলেন, আমরা ফিরে যাচ্ছি কিন্তু আগামীতে আরও বেশি শক্তি সঞ্চয় করে রাজপথে নামব। সারা দেশে শিক্ষার্থীরা নিজেদের দাবি আদায়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। আশা করি, আমাদের দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত তারা আমাদের সঙ্গে থাকবে।

খবরটি 109 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন