জাতীয় ডেস্ক: রাষ্ট্রপতির কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলে আওয়ামী লীগ সরকার পতন ঘটে। প্রায় ১৬ বছরের আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বাংলাদেশে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে। ২০২৪ সালে যাদের আন্দোলন ও রক্তের বিনিময়ে এ দেশ আওয়ামী লীগ সরকার শাসন মুক্ত হয়েছে। সে শিক্ষার্থীদের চাওয়ার ভিত্তিতে হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীনসরকার। নতুন এ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন দেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

            দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্তির পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে দেশের পরবর্তী অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। গত মঙ্গলবার ৬ আগস্ট রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান ও ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সরকার প্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় থাক‌বেন। তার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা। ভেতরে আসবাবপত্র নতুনভাবে বসানো হচ্ছে। এ কাজগুলো করছে গণপূর্ত অধিদফতর (পিডব্লিউডি)।

            ২০০৮ সালে এক এগারোর পট পরিবর্তনের পর সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমেদ যমুনায় ছিলেন। এর আগে, ১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি হাবিবুর রহমান এবং ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা লতিফুর রহমান তাদের দায়িত্বের দিনগুলো রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যুমনাতে ছিলেন।

            অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে কারা থাকছেন তা নিয়ে গত দুদিন ধরে জনমনে কৌতূহলের শেষ ছিল না। অবশেষে তাদের নাম প্রকাশের পর তাদের পরিচয় নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে জনমনে। বৃহস্পতিবার রাত ৯ টায় নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথবাক্য পাঠ অনুষ্ঠিত হবে। নবীন ও প্রবীণ উপদেষ্টার সমন্বয়ে গঠিত হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর সব উপদেষ্টারা তাদের দায়িত্ব বুঝে নেবেন।

            অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ, এম সাখাওয়াত হোসেন, ড. আসিফ নজরুল, হাসান আরিফ, মো: তৌহিদ হোসেন, সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, শারমিন মুরশিদ, ফারুক-ই-আজম, আদিলুর রহমান খান, সুপ্রদীপ চাকমা, ফরিদা আখতার, বিধান রঞ্জন রায়, আ ফ ম খালিদ হোসেন, নুরজাহান বেগম, মো: নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

            প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন সামাজিক উদ্যোক্তা ও সমাজসেবক। গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী সংস্থা এবং সামাজিক উন্নয়ন ব্যাংক। এর প্রতিষ্ঠাতা ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস। ১৯৭৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৮৩ সালে এটি একটি বৈধ এবং স্বতন্ত্র ব্যাংক হিসেবে যাত্রা শুরু করে। তিনি ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্রবিত্ত ধারণার প্রবর্তনের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। ড. ইউনূস অর্ধশতাধিকের বেশি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সম্মান পেয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা।

            উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা বাংলাদেশ ব্যাংকের নবম গভর্নর ছিলেন ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ। ড. ফখরুদ্দীন আহমদ দায়িত্ব ত্যাগের পর তিনি ২০০৫ সালের ১ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০০৯ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এ পদে আসীন ছিলেন। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে।

            উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন বাংলাদেশের সামরিক ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিজীবী ও লেখক। তিনি ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কমিশনার ছিলেন। এম সাখাওয়াত হোসেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল। তিনি বিভিন্ন দেশি-বিদেশি পত্রিকায় কলাম লেখেন। তা ছাড়া, ২০টির অধিক বই লিখেছেন তিনি। চাকরি ও নির্বাচন কমিশন থেকে অবসরের পর তিনি জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিষয়ে গবেষণার কাজ করছেন। একই সঙ্গে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রিকার কলামলিস্ট এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

            উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। তিনি একজন লেখক, ঔপন্যাসিক, রাজনীতি বিশ্লেষক, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও কলামিস্ট। টিভি টক শো ও সাহসী কলামের জন্য তিনি ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। তিনি দশের অধিক গ্রন্থের রচয়িতা। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে আসিফ নজরুল বাংলাদেশি লেখক হুমায়ূন আহমেদের মেয়ে শীলা আহমেদকে বিয়ে করেন। তার প্রাক্তন স্ত্রী ছিলেন অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী।

            উপদেষ্টা হাসান আরিফ: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি, এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন হাসান আরিফ। তিনি একজন বাংলাদেশি আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল। ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০৯ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন।

            উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা সাবেক পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব পালন করা মো. তৌহিদ হোসেন দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার ছিলেন। ১৯৯৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি ফরেন সার্ভিস একাডেমির প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার ছিলেন। ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। সাবেক এ পররাষ্ট্র সচিব ১৯৫৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।

            উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান একজন বাংলাদেশি আইনজীবী ও পরিবেশকর্মী। তিনি পরিবেশ নিয়ে কাজ করা এনজিও বেলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি আন্তর্জাতিকভাবে ফ্রেন্ডস অফ আর্থ ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী সদস্য। এনভায়রনমেন্টাল ল’ এলায়েন্স ওয়ার্ল্ডওয়াইড এবং এনভায়রনমেন্টাল ল’ কমিশন অব দ্যা আইইউসিএনের সদস্য। তিনি তার কাজের স্বীকৃতিসরূপ বেশকিছু খেতাব ও পুরস্কার অর্জন করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য গোল্ডম্যান এনভায়রনমেন্টাল প্রাইজ, হিরোজ অফ এনভায়রনমেন্ট। এছাড়া তিনি ২০১২ সালে রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার পান। ২০২২ সালে তিনি আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার পান।

            উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা অধিকার ভিত্তিক সংগঠন ব্রতী সমাজ কল্যাণ সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদে রয়েছেন শারমিন মুরশিদ। সংস্থাটি ২০০১ সাল থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠি বিশেষ করে আদিবাসী জনগনের অধিকার আদায়ে কাজ করে আসছে। তিনি ড. ইউনূসের তত্ত্বাবধায়ক সরকারে উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

            উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা যুক্ত হচ্ছেন ফারুক-ই-আজম। তিনি হলেন নৌকমান্ডো ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক)। তার বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে। মহান মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র সমন্বিত যুদ্ধাভিযান ‘অপারেশন জ্যাকপট’। চট্টগ্রাম বন্দরে আক্রমণের জন্য গঠিত ওই অভিযানিক দলের উপ-অধিনায়ক ছিলেন তিনি।

            উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান একজন মানবাধিকার কর্মী এবং মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বাংলাদেশের একজন আইনজীবী এবং সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। লেফটেন্যান্ট জেনারেল হোসেন মোহাম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সম্মুখসারিতে ছিলেন তিনি।

            উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১৬ উপদেষ্টার মধ্যে রয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা। তিনি বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে কর্তব্যরত রয়েছেন। ২০২৩ সালে ২৪ জুলাই তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। সুপ্রদীপ চাকমার জন্ম ১৯৬১ সালে খাগড়াছড়ির কমলছড়িতে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র ছিলেন। সুপ্রদীপ চাকমা বিসিএস (পররাষ্ট্র) ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তিনি সপ্তম বিসিএসে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। মেক্সিকো ও ভিয়েতনামে রাষ্ট্রদূত ছিলেন সুপ্রদীপ চাকমা।

            উপদেষ্টা ফরিদা আখতার: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার একজন লেখক, গবেষক ও আন্দোলনকর্মী। ফরিদা আখতারের জন্ম চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ থানার হারলা গ্রামে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে পড়াশোনা করেছেন। নারী উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, কৃষি, মৎস্য সম্পদ, তাঁত শিল্প, গার্মেন্টস শিল্প ও শ্রমিক, জনসংখ্যা এবং উন্নয়নমূলক বিষয়ে নিবিড়ভাবে দীর্ঘ প্রায় তিন দশক ধরে কাজ করছেন তিনি। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের নামে পরিচালিত কার্যক্রমের মারাত্মক কুফল ও নারী স্বাস্থ্যের উপর এর ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে লেখালেখি এবং প্রতিকার আন্দোলের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে সুপরিচিত ফরিদা আখতার। তিনি বাংলাদেশের নারী আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। বর্তমানে তিনি উবিনীগ (উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা) এর নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। তার প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে নারী ও গাছ, কৈজুরী গ্রামের নারী ও গাছের কথা।

            উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায়: বিধান রঞ্জন রায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একজন উপদেষ্টা। পেশায় তিনি একজন মনোচিকিৎসক। তিনি জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ও হাসপাতালে মনোচিকিৎসা বিভাগের পরিচালক ও অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

            উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন একজন দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত। বিশ্ব মুসলীম লীগের মুখপাত্র দ্যা ওয়ার্ল্ড মুসলিম লীগ জার্নালসহ বিভিন্ন সাময়িকীতে তার দুই শতাধিক গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত ইসলামী বিশ্বকোষ দ্বিতীয় সংস্করণের ৩ থেকে ৯ খণ্ড এবং সীরাত বিশ্বকোষ সম্পাদনা করেছেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ২০ টি। এ ছাড়া, তিনি চারটি জাতীয় পত্রিকার নিয়মিত লেখক। তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক নায়েবে আমীর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শিক্ষা উপদেষ্টা। এছাড়া তিনি নেজামে ইসলাম পার্টির ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন।

            উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম ২০১০ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন। এর আগে তিনি নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে ছিলেন।

            উপদেষ্টা মো: নাহিদ ইসলাম: কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মো: নাহিদ ইসলাম নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশক্তির সদস্য সচিব। তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেন এবং শেষ পর্যন্ত সে আন্দোলনে সফল হয়।

            উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে আরও যুক্ত হয়েছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। একই সঙ্গে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশক্তির আহবায়ক।

খবরটি 289 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen