বিশেষ খবর ডেস্ক: বৈমশ্বিক রাজনৈতিক মেরুকরণের বেড়াজালে বিশ্বশান্তি নিশ্চিত করা এখন অতীতের চেয়ে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে মন্তব্য করেb প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাম্প্রতিক সময়ে প্রযুক্তির প্রসার ও অগ্রযাত্রার সঙ্গে বাড়ছে নতুন হুমকি। ফলে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনগুলোর শান্তিরক্ষীদের বহুমাত্রিক জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। শান্তিরক্ষা মিশনগুলোকে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সমৃদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তা এখন বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা বিশ্বের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ও বিপজ্জনক অঞ্চলে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়। সে জন্য তাদের সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বুধবার (২৯ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। অস্ত্র তৈরি ও প্রতিযোগিতা না করে সে অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মানুষদের রক্ষার জন্য ব্যয় করার আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, নারীর অধিকার ও জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করতে আমাদের পদক্ষেপ ‘উইমেন স্পিচ অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাজেন্ডা’ তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। বাংলাদেশ অন্যতম বৃহৎ নারী শান্তিরক্ষী দেশ পরিচিতি লাভ করেছে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ৩ হাজার ৩৮ জন নারী শান্তিরক্ষী অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে জাতিসংঘের শান্তি মিশন সম্পন্ন করেছেন। এখন দাবি আসছে, আরও নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণ করার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে দ্বন্দ্ব-সংঘাত যুদ্ধ বিশ্বশান্তি বিঘ্নিত করছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজায় ইসরাইলের হামলায় নিরীহ মানুষের মৃত্যু, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা ইত্যাদি মানবজাতির জন্য এক ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। যুদ্ধে যে অর্থ ব্যয় হচ্ছে, এ অর্থ যদি ক্ষুধার্ত মানুষের আহার, শিক্ষায় ও চিকিৎসায় ব্যবহার করা হতো মানুষের জীবনমান উন্নত হতো। মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচতে পারত।
শেখ হাসিনা বলেন, সংঘাত নয়, যদি কোনো সমস্যা থাকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা, সেটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় কাজ। জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে আমরা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছি। শান্তিরক্ষা মিশন ছাড়া আমরা অন্য আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে অবদান রেখে যাচ্ছি।