ব্রেকিং নিউজ:

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে সব আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার তিনদিন পর এ ফল ঘোষণা করা হলো। গত বৃহস্পতিবারের এ নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তবে অন্য সব রাজনৈতিক দলের চেয়ে ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ ঘোষণা অনুসারে, বৃহস্পতিবারে এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১১০ টি আসন জিতেছে। যার মধ্যে ৯৬ টি আসনে জিতেছেন ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। অন্যদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৭৫ টি আসনে জয় পেয়েছে। এছাড়া প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টিও ৫৪ টি আসনে জয় পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। করাচি-ভিত্তিক দল মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) ১৭ টি আসন জিতেছে।

            পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ২৬৬ টি আসনে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভোট অনুষ্ঠিত হয় এবং সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য কোন দল বা জোটকে ১৩৪ টি আসন পেতে হবে। একজন প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে খাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশের একটি আসনের ভোট বাতিল করা হয়েছে এবং পাঞ্জাবের অন্য একটি আসনের ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। এদিকে বেশ কিছু বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী নওয়াজের পিএমএলএন-এ যোগদান করছে বলে জানা গেছে।

            পাকিস্তানি গণমাধ্যমের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাতীয় পরিষদ এবং পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদের বেশ কিছু বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী জানিয়েছেন, তারা পিএমএলএন এ যোগ দেবেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দলে অন্তত ৯ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী যোগ দিচ্ছেন।

            পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। আদালতের নির্দেশে পাকিস্তানে ১০ টি সংসদীয় আসনের ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। মূলত আদালতের জারি করা স্থগিতাদেশের পর জাতীয় পরিষদের ১০ টি এবং প্রাদেশিক পরিষদের ১৬ টি আসনের ফলাফল স্থগিত রেখেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। ফলাফল স্থগিত করা জাতীয় পরিষদের এমন তিনটি আসন রয়েছে, যার বিষয়ে পিটিআই বলেছে, তাদের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সেখানে বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয়েছে। এছাড়া খাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশের একটি আসনের ফলাফলে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। এ আসনে নওয়াজ শরিফ পরাজিত হয়েছেন এবং সেটিকে তিনি আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছেন । এ ধরনের আদেশের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে পরবর্তী সরকার গঠনে আরও বিলম্ব হতে পারে।

 

খবরটি 517 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন