ব্রেকিং নিউজ:

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরাক ও সিরিয়ায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনী ও তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত মিলিশিয়াদের ৮৫ টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে এ হামলা চালানো হয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা জর্ডানে হামলার শিকার ঘাঁটির নাম দেন টাওয়ার-২২। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

            প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী সিরিয়া এবং ইরাকে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে। মিডিয়াতে আসা রিপোর্ট নিশ্চিত করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। জর্ডানের প্রত্যন্ত সে মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের এটিই প্রথম প্রতিশোধমূলক কোনও হামলা। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের বরাত দিয়ে আল জাজিরার রোজিল্যান্ড জর্ডান জানিয়েছে, শুক্রবারের হামলায় ইরাক ও সিরিয়ার মধ্যে ৭ টি অবস্থানের এসব লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা হয়েছে মার্কিন সামরিক সূত্র জানিয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেনসহ অন্যান্য শীর্ষ মার্কিন নেতারা কয়েকদিন ধরে সতর্ক করে আসছেন, যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা আঘাত হানবে। এসময় তারা স্পষ্ট করে দেন, প্রতিক্রিয়া কেবল একটি আঘাতে হবে না, সময়ের সাথে বেশ কয়েকটি ‘স্তরে প্রতিক্রিয়া’ দেখানো হবে। এর আগে বৃহস্পতিবার ইরাক এবং সিরিয়ায় ইরান সম্পর্কিত লক্ষ্যবস্তুগুলোতে প্রতিশোধমূলক হামলার অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

            পৃথক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড এবং তাদের সমর্থনকারী মিলিশিয়াদের সাথে যুক্ত ৮৫ টি বেশি লক্ষ্যবস্তুতে প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে। ইরানের অভ্যন্তরে কোন অবস্থানকে লক্ষ্য করে হামলা করেনি যুক্তরাষ্ট্র, তারপর গাজায় হামাসের সাথে ইসরায়েলের ৪ মাসের যুদ্ধের মধ্যে হওয়া এ হামলা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা নিয়ে উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

            মার্কিন সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, হামলায় কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার, রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন স্টোরেজ সুবিধা, সে সাথে লজিস্টিক এবং যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহ চেইন সুবিধাসহ বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা হয়েছে। সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, সাতটি অবস্থানে বিস্তৃত ৮৫ টি বেশি লক্ষ্যবস্তুতে এসব হামলা চালানো হয়েছে। এ সাত স্থানের মধ্যে সিরিয়ার চারটি এবং ইরাকের স্থান তিনটি। এ হামলা চালানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে উড়ে আসা দূরপাল্লার বি-১ বোমারু বিমান ব্যবহার করা হয়েছে।

            এদিকে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়া বলেছে, সিরিয়ার মরুভূমি অঞ্চলে এবং সিরিয়া ও ইরাকি সীমান্তের বেশ কয়েকটি স্থাপনায় ‘আমেরিকান আগ্রাসনের’ ফলে অনেক লোক নিহত এবং আহত হয়েছে।

            গত সপ্তাহে সিরিয়া সীমান্তবর্তী জর্ডানের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র এ হামলা চালাল। প্রাণঘাতী সে হামলায় ৩ মার্কিন সেনা নিহত এবং আরও ৪০ জনের বেশি সেনা আহত হয়েছিল। পরে সামরিক ঘাঁটিতে হামলার দায় স্বীকার করে ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স ইন ইরাক নামে একটি গ্রুপ।

            ইরাক ও সিরিয়াজুড়ে ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়াদের অগণিত সংখ্যক ঘাঁটি, অস্ত্রের গুদাম এবং প্রশিক্ষণ ডিপো রয়েছে। এ মিলিশিয়ারা ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পসের (আইআরজিসি) কুদস ফোর্সের হাতে প্রশিক্ষিত, সজ্জিত। এছাড়া তারা এগুলোর অর্থায়ন করে। কিন্তু তারা সবসময় আইআরজিসি মাধ্যমে পরিচালিত হয় না।

খবরটি 630 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন