ব্রেকিং নিউজ:

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমা সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া তিনটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর এক প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক করেছে দেশটির সামরিক সরকার। এ বৈঠকে নেতৃত্ব দেয় মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্য ও শান্তি প্রক্রিয়া সমন্বয় কমিটি। বিদ্রোহী গোষ্ঠীর পক্ষে নেতৃত্ব দেয় এমএনডিএ, টিএনএলএ ও এএ। চীনের সহায়তায় বিদ্রোহীদের সাথে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার এ বৈঠক বিষয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে। তবে বিদ্রোহীদের সাথে মিয়ানমার সামরিক সরকারের প্রতিনিধিদের বৈঠক কোথায় এবং কখন অনুষ্ঠিত হয়েছে সেটি পরিষ্কার নয়। এছাড়া বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যায় নেই।

            ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বৈঠকের বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে ওই তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা সাড়া দেননি। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে চীনা কর্মকর্তাদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

            মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জ্য মিন তুন বলেন, চীনের সহায়তায় মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্য ও শান্তি প্রক্রিয়া সমন্বয় কমিটি বিদ্রোহীগোষ্ঠী এমএনডিএ, টিএনএলএ এবং এএ প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেছে। সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলায় সশস্ত্র জাতিগত এ তিন গোষ্ঠী নেতৃত্ব দিচ্ছে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির সংবাদ মাধ্যম এমআরটিভিকে। জ্য মিন তুন আরও বলেন, আলোচনার ওপর ভিত্তি করে চলতি মাসের শেষের দিকে উভয়পক্ষের মাঝে আরেকটি বৈঠক হতে পারে।

            দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচির রাজনৈতিক দল এনএলডি নির্বাচনে জয়ের পর ক্ষমতায় তাদের দ্বিতীয় মেয়াদ শুরুর ঠিক আগে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। তারপর থেকে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘাত শুরু হয় দেশটির বেসামরিক জনগণ ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর। সম্প্রতি দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো জোট গড়ে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে আন্দোলন জোরদার করে।

            বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট নামে একটি জোট গঠন করে গত অক্টোবর থেকে মিয়ানমারের জান্তার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে হামলা শুরু করে। দেশটির উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলীয় চীন সীমান্ত লাগোয়া একাধিক শহর ও সামরিক নিরাপত্তা চৌকির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এ জোটের সদস্যরা। বিদ্রোহীদের কাছে নিজেদের ঘাঁটি ও নিরাপত্তা চৌকির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে জান্তা বাহিনী। দেশটির কয়েকটি ফ্রন্টে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের লড়াইয়ে গত কয়েক মাসে ৩৬০ জনের বেশি বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানি ঘটেছে। এ সংঘাতে বাস্তুচ্যুত হয়েছে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ।

খবরটি 602 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন