ব্রেকিং নিউজ:

পযর্টন ডেস্ক: হাওর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের চারদিকে জল থৈথৈ এক সাগরসদৃশ বিশাল সমুদ্র। শরতের নীল আকাশে মৃদুমন্দ বাতাসে অপার সৌন্দর্যে রৌদ্রের আলোয় চকচকে জলরাশি। সাধারণত বর্ষাকালে নদীতীরে নিচু ভূমি পানিতে তলিয়ে ভেসে ওঠা হাওর। হাওর হলো সাগরসদৃশ পানির বিস্তৃত প্রান্তর। হাওর ঘুরে দেখলে মনে হবে যেন এক বিশাল সমুদ্র। পানির সীমানা শেষ হতে বিস্তৃত আকাশ। হাওরের বুকে উঁচু ভিটায় বিচ্ছিন্ন ছোট-ছোট এলাকা। এগুলো যেন একেকটা ছোট দ্বীপ। রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের নয়নাভিরাম ‘অল ওয়েদার রোড। বিস্তীর্ণ জলভূমির মাঝে জেলেদের নৌকা। শিশুদের সাঁতার কাটা। নিশ্চয় মন কেড়ে নেবে। দলবদ্ধ রাজা হাঁস, পাতি হাঁস, শরতের আকাশে বুক ফুলিয়ে উড়ে যাওয়া বকের সারি। মুক্ত আকাশ থেকে নেমে এসে ঠোঁটে মাছ নিয়ে উড়ে যাওয়া চিল। আকাশে উড়ন্ত মেঘের লুকচরি খেলা।

            কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন হাওর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের শেষ নেই। হাওরে ঘুরে বেড়ানো বাড়তি আনন্দ উপভোগ করা যায়। ভ্রমণে দেখো যাবে গলা অবধি ডুবে যাওয়া হিজলগাছ। ফেরার পথে দেখা যাবে জলরাশির সঙ্গে মিলেমিশে একাকার রক্তিম সূর্য এ যেন এক মনোরম সৌন্দর্যের মঞ্চায়ন। এ সব হাওরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের প্রতিচ্ছবি।

            যদি থাকে হাওরের বুকে দৃষ্টিনন্দন পিচঢালা পথ। ছোট-ছোট নজর কাড়া সেতু। তাহলে তো কথায় নেই। ট্রলারে হাওর ঘুরে দেখার পর পিচঢালা রাস্তায় দাঁড়িয়ে চোখ যত দূর যায় দেখে নেওয়া যাবে হাওরের জলরাশি। ক্লান্তির ছাপ ধুয়ে বুক টান করে নেওয়া যাবে শ্বাস। এত সুন্দর হাওর কোথায়। হ্যাঁ, কিশোরগঞ্জ ইটনা মিঠামইন নিকলি হাওরের কথা মনে পড়বে। এখানে পর্যটকের ভ্রমণে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যেও নির্মল বাতাসে মনকে স্বস্তি দেবে।

খবরটি 835 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন