শিক্ষা ডেস্ক: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্য অর্জনে ডিজিটাল প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন স্মার্ট মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে। এ লক্ষ্যে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর অপরিহার্য। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন প্রজন্ম আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। শনিবার (২১ অক্টোবর) কুমিল্লার দাউদকান্দিতে পৌর সদরে আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুলের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট মানুষ চেয়েছেন। ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে বলেন তুমি স্মার্ট হলে বাংলাদেশ স্মার্ট হবে। এখনকার যুগে বাস করে তোমরা যদি কোনো ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার করতে না পার তবে তোমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। সেদিন খুব বেশি দূরে নয়, যেদিন প্রতিটি শিক্ষার্থী ব্যাগে বই নয়, একটি ল্যাপটপ নিয়ে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে দেশের সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলের ছেলে মেয়েদের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে এসওএফ তহবিলের অর্থায়নে আমরা ৬৫০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পার্বত্য অঞ্চলে ২৮ টি পাড়াকেন্দ্রে ডিজিটাল কনটেন্টের পাঠ দানের মাধ্যমে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের অভিযাত্রা শুরু করেছি। আরও এক হাজারটি বিদ্যালয়ে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের কাজ চলছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান প্রচলিত পাঠদান পদ্ধতির চেয়ে অনেক বেশি আকর্ষণীয় এবং স্মার্ট মানব সম্পদ তৈরির জন্য কার্যকর একটি পদ্ধতি। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এক বছরের পাঠ্যক্রম দুই মাসে সহজে আয়ত্তে আনতে সক্ষম। ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠ প্রদানের ফলে শিক্ষার্থী ভর্তি এবং নিয়মিত উপস্থিতির হার অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
টেলিযোগোযোগ মন্ত্রী দেশের দুর্গম ও সুবিধা বঞ্চিত এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাড়া কেন্দ্রে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠ দানের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেন। ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা নিতে আশপাশের স্কুলের শিক্ষার্থীরা অনেকে টিসি নিয়ে এ সব স্কুলে চলে আসছে। যে সব স্কুলে কম্পিউটার আছে সে সব প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল কনটেন্ট দেওয়ার দাবি উঠেছে। সন্তানদের হাতে ডিজিটাল ডিভাইস তুলে দিতে অভিভাবকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ব্যবহার করে সন্তানদেরকে প্রযুক্তির দিক থেকে নিরাপদ রাখা যায়। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।