ব্রেকিং নিউজ:

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রতিবেশী ভারত ও চীনের মাঝে চিরবৈরী দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে। বিষয়টি যেন বেইজিং ও দিল্লির কুটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ড্রাগন হস্তি নৃত্য সহযোগিতার বাস্তবায়ন করাই চীন ও ভারতের একমাত্র সঠিক পছন্দ। এর সর্বশেষ দৃষ্টান্ত দেখা গেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে করা ইতিবাচক মন্তব্যে। যার প্রশংসা করেছে চীন। সোমবার বেইজিংয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচক মন্তব্যের প্রশংসা করেছেন।

            মুখপাত্র মাও নিং  বলেছেন, চীন ও ভারতের মধ্যে ২০০০ বছরের বেশি সময় ধরে বিনিময়ের ইতিহাসে, বন্ধুত্বপূর্ণ বিনিময় এবং পারস্পরিক শিক্ষা মূলধারা, যা বিশ্ব সভ্যতা এবং মানব অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। বৃহত্তম দুই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উভয়পক্ষের বর্তমান সাধারণ কাজ হল তাদের নিজ দেশের উন্নয়ন এবং পুনরুজ্জীবন অর্জনের জন্য প্রচেষ্টা চালানো। তাদের পরস্পরকে বোঝা, সমর্থন এবং অর্জন করা উচিত। এটি দুই দেশের ২ দশমিক ৮ বিলিয়নের বেশি মানুষের মৌলিক স্বার্থ, আঞ্চলিক দেশগুলোর সাধারণ প্রত্যাশা, বিশ্বব্যাপী দক্ষিণের অসামান্য বৃদ্ধির ঐতিহাসিক প্রবণতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য সহায়ক। পারস্পরিক অর্জনের অংশীদার হওয়া এবং ‘ড্রাগন ও হাতির নৃত্য’ বাস্তবায়ন করা চীন ও ভারতের জন্য একমাত্র সঠিক পছন্দ। অক্টোবরে রাশিয়ার কাজানে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মাঝে সফল বৈঠক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি ও উন্নয়নের জন্য কৌশলগত দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করেছে। চীন দুই নেতার গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ বোঝাপড়া বাস্তবায়নের জন্য ভারতের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫তম বার্ষিকীকে স্থিতিশীল সম্পর্ক গড়ার একটি সুযোগ হিসাবে গ্রহণ করছে বেইজিং।

            ভারতের এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার দ্বিপাক্ষিক সব মতপার্থক্যকে বিরোধে রুপ না দেওয়া নিশ্চিত করার দিকে মনোনিবেশ করছে। লেক্স ফ্রিডম্যানকে তিনি বলেন, এ সব পার্থক্য যাতে বিরোধে রূপান্তরিত না হয় তা নিশ্চিত করার দিকে আমাদের মনোযোগ। এটা নিয়ে আমরা সক্রিয়ভাবে কাজ করছি। বিচ্ছিন্নতার পরিবর্তে আমরা কথোপকথনের ওপর জোর দিয়েছি। কারণ কেবল কথোপকথনের মাধ্যমে আমরা একটি স্থিতিশীল, পারস্পরিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক তৈরি করতে পারি। যা উভয় দেশের সর্বোত্তম স্বার্থের জন্য কাজ করবে।

            গত চার বছরের বেশি সময় পর গত বছরের নভেম্বরে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) টহল শুরু করে ভারতীয় ও চীনা সেনারা। ২০২০ সালের মে-জুনে প্যাঙ্গং হ্রদ এবং গালওয়ান উপত্যকায় উভয়পক্ষের সৈন্যদের সংঘর্ষের পর থেকে গত প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে পূর্ব লাদাখের এ দুটি অঞ্চলে টহল বন্ধ ছিল।

সূত্র: এনডিটিভি।

খবরটি 61 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন