ব্রেকিং নিউজ:

জাতীয় ডেস্ক: বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। রোববার (২ মার্চ) পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে। এশার নামাজের সঙ্গে তারাবির নামাজ পড়বেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। ভোরে রোজা রাখার উদ্দেশে সেহরি খাবেন তারা। শনিবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে রমজানের চাঁদ দেখা গেছে। সে হিসাবে আগামী ২৭ মার্চ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সৌদি আরবে হিজরি ১৪৪৬ সনের রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। শনিবার (১ মার্চ) দেশটিতে শুরু হয়েছে পবিত্র ও মহিমান্বিত এ মাস। এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত বিশ্বের বেশ কিছু দেশে শুক্রবার রমজানের চাঁদের দেখা গেছে।

            সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ শনিবার (১ মার্চ) রোজা শুরু করেছেন। তারা শুক্রবার রাতে তারাবির নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে রোজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে শনিবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে রমজানের চাঁদ দেখার খবর জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ফলে দেশের মসজিদগুলোতে আজ প্রথম তারাবির নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। মুসল্লিরা উৎসবমুখর পরিবেশে তারাবির নামাজে অংশগ্রহণ করবেন। আজ ২৯ শাবান ১৪৪৬ হিজরি, ১৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১ মার্চ ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। এ অবস্থায় আগামীকাল ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২ মার্চ ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ রোববার থেকে ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রমজান মাস গণনা শুরু হবে। আগামী ২৬ রমজান ১৪৪৬ হিজরি, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭ মার্চ ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।

            হিজরি ১৪৪৬ এলো মাহে রমজান: রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের বার্তা নিয়ে এলো পবিত্র মাহে রমজান। শাবান মাসের শেষে দেশের আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার মাধ্যমে শুরু হলো বরকতময় এ মাস। রাসূল সা. চাঁদ দেখে রমজান শুরু এবং ঈদুল ফিতর পালন করতে বলেছেন। রমজান মাস আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে অসীম রহমত ও বরকত নিয়ে আসে। এ মাস আত্মার পরিশুদ্ধি ও তাকওয়া অর্জনের মাস। মহান আল্লাহ তায়ালা যতগুলো শরিয়ত নাজিল করেছেন, তার প্রতিটিতে ছিল সিয়াম সাধনা অবশ্য পালনীয় কর্তব্য ও ফরজ। তাই পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, হে বিশ্বাসীগণ, তোমাদের উপর সিয়াম ফরজ করা হয়েছে। যেমন করা হয়েছিল তোমাদের পূর্বসূরিদের উপর যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো বা মোত্তাকি হতে পারো।

            এ মাসের অন্যতম প্রধান ইবাদত হলো রোজা রাখা। শরিয়তের ভাষায় রোজা বলা হয়। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যাবতীয় পানাহার, যৌনকর্ম এবং আল্লাহ ও তার রসুলের নিষিদ্ধ যাবতীয় কাজ থেকে বিরত থাকা। রমজান মুসলিম উম্মাহর শ্রেষ্ঠতম পবিত্র মাস। এ মাস সকল মুসলমানকে নিয়ে আসে এক বিশেষ প্রশিক্ষণের আওতায়। এক নাগাড়ে ক্রমাগত ত্রিশটি দিন, সাতশ বিশ ঘণ্টার কঠিন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি তৈরি করা হয়। শেষ রাতে জেগে ‘সেহরি’ খাওয়া, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও অন্যান্য নিষিদ্ধ কর্ম থেকে বিরত থাকা, সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা, তারপর রাতের একটি বিশেষ অংশ ‘তারাবি’ নামাজে অতিবাহিত করা। এভাবে দীর্ঘ ত্রিশটি দিন ধর্মপ্রাণ রোজাদারদের প্রশিক্ষণ চলে। এ প্রশিক্ষণ আর কিছু নয় এ হলো আল্লাহর প্রতি আশরাফুল মাখলুকাত মানব সন্তানদের পরম আনুগত্য, সংযম, ত্যাগ, তিতিক্ষা ও আন্তরিকতার অনুশীলন।

            রমজানের শেষ দশদিন ইতেকাফ করা সুন্নত। এ দশদিনের একদিন মহাপুণ্যময় একটি রাত রয়েছে। রাতটিকে লাইলাতুল কদর বলা হয়। অনেকের মতে, ২৭ তারিখ রাত লাইলাতুল কদর। কারও কারও মতে শেষ দশদিনের যেকোনো বেজোড় রাত। হাদিসে বলা হয়েছে, হাজার রাতের চাইতে শ্রেষ্ঠ এ পবিত্র রাত লাইলাতুল কদরের রাত পেয়ে যে ব্যক্তি তাকে কাজে লাগাতে, পরিপূর্ণ মর্যাদা দিতে পারল না, বঞ্চিত হলো সে দুনিয়ার যাবতীয় কল্যাণকামী কাজ থেকে। তার মতো দুর্ভাগা কেউ নেই।

খবরটি 44 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন