ব্রেকিং নিউজ:

বিনোদন ডেস্ক: থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ ২০২৫ উপলক্ষে ঘড়ির কাঁটায় রাত ১২ টা বাজতে অবিরত আতশবাজির ঝলকানিতে বর্ণিল হয়ে উঠে রাজধানী ঢাকা ও সারাদেশের আকাশ। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) ১২ টা বাজতে রাতে রাজধানী ঢাকা ও সারাদেশের আকাশ আতশবাজির ঝলকানিতে থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি ফুটতে থাকে পটকা। শব্দে প্রকম্পিত হয় চারপাশ। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে এভাবে ঢাকা একযোগে দেশের বিভিন্ন এলাকার ছাদ বা কোথাও মাঠ থেকে আতশবাজি পোড়ানো হয়। রাজধানী ঢাকায় মিরপুর, শ্যামলী, রামপুরা, মহাখালী, শান্তিনগর, গুলশান বনানী এলাকা ও বিভিন্ন এলাকায় থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে পটকা ও আতশবাজি ঝলকানি। এ ছাড়া অনেক আবাসিক এলাকার ফাঁকা বাসা বাড়ি ও ফাঁকা জায়গা থেকে ওড়ানো হয় ফানুস। আকাশে ফানুস ওড়লো ও পটকা আতশবাজি ফুটিয়ে বিদায় জানানো হলো ২০২৪ সাল।

            থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জনজীবন স্বাভাবিক রক্ষার স্বার্থে ১১ দফা নির্দেশনা সম্বলিত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। অনুমতি ব্যতীত উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান, সভা সমাবেশ, গণজমায়েত, নাচ, গান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র‌্যালি ও শোভাযাত্রা করা যাবে না। থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর এলাকায় যে কোনো ধরনের আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ টা হতে ১ জানুয়ারি সকাল ৮ টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগর এলাকায় সব বার বন্ধ থাকবে। আবাসিক হোটেলগুলো সীমিত আকারে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করতে পারবে। ইংরেজি নববর্ষের প্রাক্কালে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ টা হতে ১ জানুয়ারি ভোর ৫ টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসব স্থলে সব ধরনের লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন করা যাবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক শিক্ষার্থী কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টা মধ্যে স্ব-স্ব এলাকায় প্রত্যাবর্তন করবেন এবং রাত ৮ টার পরে প্রবেশের ক্ষেত্রে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যবৃন্দকে পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে। উচ্চ শব্দে গাড়ির হর্ন বাজানো বা গণউপদ্রব সৃষ্টি করে এমন কোনো গান বাজনা চালানো যাবে না।

            এর আগে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে ডিএমপি কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত ব্রিফিংয়ে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে থার্টি ফার্স্ট উদযাপিত হয়। বেশিরভাগ দেশে এটি নববর্ষ, আমাদের দেশে নয়। দ্বিতীয়ত, অন্যান্য দেশে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের আয়োজন করা হয়, পুরো শহরজুড়ে আতশবাজি ফোটানো হয় না। আমরাও এ বছর ঢাকা মহানগরের একটি নির্দিষ্ট স্থানে থার্টি ফার্স্ট ও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠান আয়োজন করার চিন্তা করেছিলাম। কিন্তু এ বছর আমরা সেটি পারিনি। আশা করি আগামী বছর আমরা সেটি আয়োজন করবো। তিনি বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে যাতে আতশবাজি, পটকা, ক্লাস্টার বোমা, রকেট বোমা না ফোটানো হয় সেজন্য গত এক সপ্তাহ ডিএমপি রাজধানীতে অভিযান পরিচালনা করে ১২৭ কেজি আতশবাজি, পটকা, ক্লাস্টার বোমা, রকেট বোমা জব্দ করেছি। এ বিষয়ে ৫টি মামলা হয়েছে এবং পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছেন পুলিশ ও র‌্যাবের সদস্যরা। অনেক এলাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।

খবরটি 15 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন