আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের মহাকাশযানের যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী কোম্পানি স্পেসএক্সের তৈরি রকেট স্টারশিপ সফলভাবে উৎক্ষেপিত পর সেটির নিম্নাংশ সফলভাবে লঞ্চপ্যাডে ফিরে এসেছে। রোববার টেক্সাসের বোকাচিকা মহাকাশ কেন্দ্র থেকে রকেটটি স্থানীয় সময় সকাল ৭ টা ২৫ মিনিটে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এটি আকাশে উড়ে যাওয়ার পর এক পর্যায়ে এর স্টারশিপ রকেটটি আলাদা হয়ে অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমে ভারত মহাসাগরে পড়ে। আর সুপার হেভি বুস্টারটি ফিরে আসে স্পেস এক্সের সে টাওয়ারে যেখান থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। বিশ্বের ইতিহাসে প্রথমবার এ ঘটনা ঘটল। এ ঘটনাটি গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে যে এখন পর্যন্ত বিশ্বে যত রকেট প্রস্তুত হয়েছে, সবগুলোই একবার ব্যবহারযোগ্য। ইলন মাস্কের বার বার ব্যবহারযোগ্য রকেট প্রস্তুতের লক্ষ্য নিয়েছিলেন। সে লক্ষ্যের পথে বড় একটি মাইলফলক স্টারশিপের সফল উৎক্ষেপণ।
এর আগে মোট ৪ বার স্টারশিপ উৎক্ষেপণের চেষ্টা করেছিল স্পেসএক্স। কিন্তু প্রতিবারই তা ব্যর্থ হয়েছে। ১৩ অক্টোবর উৎক্ষেপণের আগে এক বিবৃতিতে স্পেসএক্স কোম্পানি বলেছিল, স্টারশিপ সফলভাবে মহাকাশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করতে পারলে কোম্পানি সন্তুষ্ট। রকেটটির নিম্নাংশ, যেটির নাম সুপার হেভি বুস্টার যদি লঞ্চপ্যাডে ফিরে না ও আসে, তবুও সমস্যা নেই। স্টারশিপ রকেট ১০০ টনের বেশি যন্ত্রপাতি বা ১০০ জন আরোহী বহন করতে পারে। আর সুপার হেভি বুস্টারে আছে ৩৩ টি ইঞ্জিন, যা মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার আর্টিমেস রকেটের চেয়ে দ্বিগুণ শক্তিশালী।
স্টারশিপ রকেটে যেসব যন্ত্র এবং যন্ত্রাংশ রয়েছে, সেগুলোর সম্মিলিত ওজন ১০০ টনের বেশি এবং রকেটটি একসঙ্গে ১০০ জন যাত্রী পরিবহনে সক্ষম। যে অংশটি পৃথিবীতে ফিরে এসেছে, সে সুপার হেভি বুস্টারে মূলত রকেটের ইঞ্জিন বিভাগ। ৩৩ টি ইঞ্জিন রয়েছে সুপার হেভি বুস্টারে। নাসার আর্টেমিস রকেটের চেয়ে স্টারশিপ দ্বিগুণ শক্তিশালী। ইঞ্জিনের অংশটি যেহেতু ফিরে এসেছে, তাই এটি ব্যবহারের মাধ্যমে ফের নতুন রকেট প্রস্তুত করা সম্ভব। স্পেসেএক্স কোম্পানির পক্ষ থেকে স্টারশিপের উৎক্ষেপণকে ঐতিহাসিক ঘটনা উল্লেক করা হয়েছে। অবশ্য স্পেসএক্স যে এককভাবে এ রকেটটি প্রস্তুত করেছে এমন নয়। রকেটটি প্রস্তুতের জন্য স্পেসএক্সকে ২৮০ কোটি ডলার দিয়েছে নাসা।
সূত্র: বিবিসি