আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরের জিরিবাম ও বিষ্ণুপুর জেলায় নতুন করে সহিংসতা শুরু হয়। শনিবার এ দুই জেলায় ড্রোন ও রকেট হামলার পাশাপাশি গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৫ জন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। এর আগে, শুক্রবার মণিপুরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের রকেট হামলায় একজনের প্রাণহানি ঘটে। এরপর শুক্রবার সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতে সম্প্রদায়ের লোকজন ইম্ফল উপত্যকার পাঁচটি জেলায় সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করে। রাজ্যের হাজার হাজার মানুষ এ প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেয়। সেদিনই ড্রোন ও রকেট হামলার ঘটনা ঘটেছে। নতুন করে সংঘাত শুরু হওয়ায় মণিপুর সরকার রাজ্যের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে। পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

            ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, মণিপুরের জিরিবাম জেলায় ঘুমন্ত এক ব্যক্তিকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সাথে বিদ্রোহীদের বন্দুকযুদ্ধে ৪জন নিহত হয়। এ ৪ জন সশস্ত্র ছিলেন।

            মণিপুর পুলিশ বলেছে, গুলি চালিয়ে যাকে হত্যা করা হয়েছে, তিনি জেলা সদর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরের বিচ্ছিন্ন এক এলাকায় একা বসবাস করতেন। বিদ্রোহীরা তার বাড়িতে হামলা চালায় ও ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডের পর মণিপুরের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়। জেলা সদর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে গোলাগুলির এ ঘটনায় অন্তত ৪ জনের প্রাণহানি ঘটে। নিহতদের প্রত্যেকে বিচ্ছিন্নতাবাদী একটি গোষ্ঠীর সদস্য তা জানায় পুলিশ। বিষ্ণুপুর জেলায় রকেট হামলায় ৭২ বছর বয়সী ব্যক্তি এক জন নিহত ও অন্য পাঁচজন আহত হয়। এর ফলে সহিংসতায় বিধ্বস্ত মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল উপত্যকায় উত্তেজনা ব্যাপক আকার ধারণ করে।

            গত বছরের মে মাসে মণিপুরের সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতে সম্প্রদায় এবং কুকি জো উপজাতিদের মধ্যে সহিংসতা শুরু হয়। এ সহিংসতায় দুই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ও প্রায় ৫০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। এরপর রাজ্যজুড়ে থেমে থেমে সহিংসতা চললে এ প্রথমবারের মতো চলমান জাতিগত সংঘাতে ড্রোন ও রকেট ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছে।

খবরটি 315 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen