বিশেষ খবর ডেস্ক: এক মাসের বেশি সময় ধরে চলা শিক্ষার্থী জনতার কোটা আন্দোলনের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা। ৭৬ বছর বয়সী এ আওয়ামী লীগ নেত্রী বর্তমানে অবস্থান করছেন ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে। তার এ পদত্যাগের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা কামনা করেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

            যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের মেজরিটি লিডার চাক শুমার এক বিবৃতিতে বলেন, বৈধ প্রতিবাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহিংস প্রতিক্রিয়া তার নেতৃত্বের প্রতি মানুষের সমর্থন তুলে দিয়েছে। আমি সাহসী আন্দোলনকারীদের প্রশংসা করছি ও একই সাথে নিহতদের জন্য ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

            ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল বলেন, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের কাছে শান্তিপূর্ণ স্থানান্তর খুব গুরুত্বপূর্ণ। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ যাদের নির্বিচারে আটক করা হয়েছে তাদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়া উচিত।

            ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের প্রতিনিধি বলেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বাংলাদেশে যে সহিংসতা আমরা দেখেছি ও তা সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। শিক্ষার্থী, শিশু ও আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাসহ সবার প্রাণহানির ঘটনা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য এ মন্তব্য করেন তিনি৷

            জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বাংলাদেশের চলমান ঘটনাবলীর বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করে বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পথে এগিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

            ২০০৯ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়ী হয়ে দেশের দ্বিতীয়বারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। তারপর গত ১৬ বছরে যে তিনটি নির্বাচন হয়েছে, সেগুলোতে জয়ী হয়েছেন তিনি ও তার রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ।

সূত্র: ডয়চে ভেলে

খবরটি 290 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen