জাতীয় ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) রাতে রাষ্ট্রপতির সহকারী প্রেস সচিব এস এম রাহাত হাসনাত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ বৈঠকে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে বর্তমান পরিস্থিতি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা ঠিক করতে বৈঠকে বসেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, তিন বাহিনীর প্রধান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ সমন্বয়ক। বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে নোবেল বিজয়ী ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব করা হয়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাদের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেন। উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যান্য সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করার পরামর্শ দেন। এছাড়া তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে মনোনয়ন দেওয়ার পরামর্শ দেন। রাষ্ট্রপতি সংকট উত্তরণে দেশবাসীকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
এ সময় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ জন সমন্বয়ক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সন্ধ্যা ৬ টা ৭ মিনিটে সেনাবাহিনীর একটি কোস্টার বাসে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ জন সমন্বয়কসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল এবং অধ্যাপক তানজীম উদ্দীন বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন। এর ঠিক এক ঘণ্টা ৩৩ মিনিটে পরে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানরা একটি গাড়ি বহর নিয়ে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন। বহরে ১০ টির বেশি গাড়ি ছিল।
এরপরই শুরু হয় বর্তমান পরিস্থিতি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে বৈঠক। বৈঠক শেষে রাত ১২ টায় বঙ্গভবন থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা বের হয়ে আসেন। আর তিন বাহিনীর প্রধানরা রাত ১২ টা ১০ মিনিটে বঙ্গভবন থেকে বের হন।