বিনোদন ডেস্ক: সতীনের সংসারে বিরাট কোন্দল হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হয়নি বরং এক স্বামীর সঙ্গে সুখে সংসার করছেন দুই স্ত্রী। দুই স্ত্রীকে সমানভাবে সময় দেওয়ার জন্য স্বামী যে পদ্ধতি অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাকে সমর্থন করেছেন স্ত্রীরা। ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য হরিয়ানার সীমান্তবর্তী দিল্লির গুরুগাঁও শহরে ঘটেছে এ ঘটনা। বর্তমানে গুরুগাঁও শহরে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবন পাশপাশি দুই ফ্ল্যাটে মিলেমিশে দিন কাটাচ্ছেন দুই স্ত্রী এবং সপ্তাহ হিসেবে স্বামীকে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন তারা। কেমন সে বন্দোবস্ত।
পেশায় ইঞ্জিনিয়ার এ যুবক ২০১৮ সালে বিয়ে করেন ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের গোয়ালিয়ারের বাসিন্দা এক তরুণীকে। তিনি এ যুবকের প্রথম স্ত্রী। এ দম্পতির একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। করোনা মহামারির সময় স্ত্রী ও শিশুপুত্রকে বাবার বাড়িতে রেখে আসেন এ যুবক এবং তার কিছুদিনের মধ্যে কর্মস্থলে এক সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সম্পর্কের এক পর্যায়ে তিনি এ সহকর্মীকে বিয়ে করেন এবং এ ঘরে তার একটি কন্যাসন্তান জন্মায়। প্রথম স্ত্রীর কাছে এ ব্যাপারটি সম্পূর্ণ গোপন করে গিয়েছিলেন তিনি। তবে এক সময় প্রথম স্ত্রী ঘটনা জানতে পারেন এবং নিজের ও সন্তানের ভরণপোষণের অর্থ দাবি করে পারিবারিক আদালতে মামলা করেন। তবে আদালতে এ মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর এক পর্যায়ে সমঝোতার পথে হাঁটেন তিন জন। তারা সিদ্ধান্তে আসেন দুই স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করবেন যুবক। উভয়কে সমান সময় দেবেন।
এক্ষেত্রে প্রথমে এসে পড়েছিল স্বামীর সময় ভাগাভাগির প্রশ্নটি। এ সমস্যার সমাধান হিসেবে সপ্তাহের ছয় দিনকে দু-ভাগে ভাগ করে নিয়েছেন তারা। অর্থাৎ যুবকের দুই স্ত্রী তিন দিন করে স্বামীকে কাছে পান। প্রথম তিন দিন বড় বউয়ের জন্য বরাদ্দ। পরের তিন দিন ছোট বউয়ের সঙ্গে সময় কাটান যুবক। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার পর থেকে আর কোনো গণ্ডগোল ঘটেনি। তবে এখানে শেষ নয়। ৬ দিন স্ত্রীদের সঙ্গে সময় কাটানোর পর অবশিষ্ট রবিবারটি নিজের জন্য রেখেছেন যুবক। এ দিন বিশ্রাম নেন যুবক। নিজের মতো করে সময় কাটান।