ব্রেকিং নিউজ:

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা সিস্টেম প্রদান নিয়ে ইসরায়েলকে হুমকি দিয়েছে রাশিয়া। জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত ভাসিলি নেবেনজিয়া বলেছেন, ইসরায়েল যদি সত্যি ইউক্রেনকে এ সমরাস্ত্র প্রদান করে, তাহলে গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে বিশ্বের একমাত্র এ ইহুদি রাষ্ট্রকে।

            সম্প্রতি যুক্তরাজ্য ভিত্তিক দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমস এ নিয়ে প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে। সে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরোনো এ আটটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা সিস্টেম প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাবে ইসরায়েল, তারপর সেখান থেকে সেগুলো ইউক্রেনে পাঠানো হবে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর সংস্থা নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এ ব্যাপারটি তোলেন ভাসিলি নেবেনজিয়া। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনে যে কেউ যত শক্তিশালী অস্ত্র পাঠাক না কেন তা ধ্বংস হবে। গত দু’ বছরে ইউক্রেনে অনেক শক্তিশালী অস্ত্র পাঠিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। সেগুলোর প্রায় সব ধ্বংস হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের বাইরে কোনো নতুন রাষ্ট্র যদি ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দেয়, সেক্ষেত্রে তার পরিণতি গুরুতর হবে।

            ৩০ বছরের বেশি সময় আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছথে আটটি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা সিস্টেম কিনেছিল ইসরায়েল। এ সিস্টেমগুলোর সব এম ৯০১ পিএসি-২ ব্যাটারি মডেলের। গত এপ্রিল মাসে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা দেয় যে পুরোনো হয়ে যাওয়ায় এ সমরাস্ত্রগুলো আর ব্যবহার করবে না দেশটির সেনাবাহিনী। এগুলোর স্থানে আনা হবে নতুন আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষণার পর এ প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা সিস্টেমগুলো ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে প্রদানের জন্য অনুরোধ জানায় কিয়েভ। এ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও ইউক্রেনের মধ্যে সম্প্রতি কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে।

            ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ সেনাবাহিনী, যা এখনও চলছে। এই অভিযানের শুরু থেকে ইউক্রেনকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। পাশাপাশি অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারিসহ রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক পদক্ষেপও নিয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব।

সূত্র: আরটি

খবরটি 437 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন