ব্রেকিং নিউজ:

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ করছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। লড়াই শুরুর পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলে হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটলে সংঘাত অবসানের কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। এমন অবস্থায় চীন রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি সম্মেলনের ব্যবস্থা করতে পারে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। সংকট সমাধানে সংঘাতের মূল কারণগুলো সমাধান করা দরকারে এ বিষয় জানান তিনি। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

            রয়টার্স প্রতিবেদনে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভকে উদ্ধৃত করে বার্তাসংস্থা আরআইএ বলেছে, চীন একটি শান্তি সম্মেলনের ব্যবস্থা করতে পারে যেখানে রাশিয়া এবং ইউক্রেন অংশ নেবে। এ ধরনের পদক্ষেপ হবে ইউক্রেনের সংকট সমাধানে বেইজিংয়ের চলমান প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতা। বার্তাসংস্থাটির সাথে এক সাক্ষাৎকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ বলেন, চীনের অবস্থানের সঙ্গে একমত যে, সংঘাতের মূল কারণগুলোকে প্রথমে সমাধান করতে হবে। পরবর্তীতে চুক্তির সময় সমান ও অবিভাজ্য নিরাপত্তা নীতির ভিত্তিতে সকল পক্ষের বৈধ স্বার্থকে রক্ষা করতে হবে। বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে এগোতে হবে, যা সেখানে বসবাসকারী মানুষের ইচ্ছাকে প্রতিফলিত করে। ইউক্রেন সংকট নিরসনের জন্য রাশিয়া বারবার আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে। এক্ষেত্রে দখলে নেওয়া চার অঞ্চলকে কিয়েভ এবং পশ্চিমা দেশগুলোকে রুশ ভূখণ্ডের অংশ স্বীকৃতি দিতে হবে এ পূর্বশর্ত দিয়েছে মস্কো। এদিকে ইউক্রেনকে সাহায্য করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। ওয়াশিংটন কিয়েভ সরকারের অপরাধের সহযোগী হয়ে উঠেছে। এমনকি মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র ‘সংঘাতের আগুন জ্বালাচ্ছে’ এ মন্তব্য করেছেন তিনি।

            ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। এরপর একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিঝিয়া ও খেরসন অঞ্চলকে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করে মস্কো। মূলত কয়েক দফা ‘কথিত’ গণভোটের মাধ্যমে ইউক্রেনের এ চারটি অঞ্চল অধিগ্রহণ করে রাশিয়া। গণভোটের পর এ চার অঞ্চলের প্রক্সি সরকারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে সেগুলোকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে যুক্ত করেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

খবরটি 430 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন