আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পঞ্চম বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে চীনে যাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দুই দেশের পক্ষ থেকেই পুতিনের সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ইউক্রেনে হামলার জেরে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় দেশটির অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে চীন। রাশিয়ার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখায় চীন পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনার মুখে পড়েছে। যদিও এগুলো তারা উড়িয়ে দিয়েছে। তবে মস্কোর সঙ্গে বেইজিংয়ের অর্থনৈতিক ও সামরিক সম্পর্কটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে পশ্চিমা দেশগুলো। বর্তমানে চীনের অপরিশোধিত তেলের সবচেয়ে বড় যোগানদাতা হলো রাশিয়া। পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গত বছর চীনে রাশিয়ার তেল রপ্তানির পরিমাণ ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

            পুতিনের চীন সফরের ব্যাপারে রুশ প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিন বলেছে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে ১৬ থেকে ১৭ মে পর্যন্ত চীনে রাষ্ট্রীয় সফরে যাবেন। গত ছয় মাসের মধ্যে পুতিনের এটি দ্বিতীয় চীন সফর হবে।

            চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং এক বিবৃতিতে বলেছেন, পুতিন এবং জিনপিং “দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলবেন।

            ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রার সামরিক অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন পুতিন। এর কয়েক দিন আগে বেইজিংয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এরপর দুইজন একসঙ্গে ঘোষণা দেন চীন ও রাশিয়ার মধ্যে ‘সীমাহীন’ বন্ধুত্ব থাকবে।

সূত্র: আলজাজিরা

খবরটি 429 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen