ব্রেকিং নিউজ:

স্টাফ রিপোর্টার, বান্দরবান: বান্দরবানে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বান্দরবান সদর ও আলীকদম ২ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার (৮ মে) রাতে জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার এসএম সাহাদাত হোসেন এ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেছেন। এ নির্বাচনে বান্দরবান সদর উপজেলায় মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে আব্দুল কুদ্দুস ও আলীকদম উপজেলায় দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে মো: জামাল উদ্দিন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

            জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, বান্দরবান সদর উপজেলায়ে এ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ ১৯ হাজার ১৪৪ ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীক নিয়ে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৬৬ ভোট। উড়ো জাহাজ প্রতীক নিয়ে ১৩ হাজার ৩২১ ভোটে মোহাম্মদ ফারুক আহম্মেদ ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টিয়াপাখি প্রতীক নিয়ে প্রজ্ঞাসার বড়ুয়া পাপন পেয়েছেন ৭ হাজার ৭৫১ ভোট। প্রজাপতি প্রতীক নিয়ে ১৭ হাজার ৯০ ভোটে মেহাইনু মারমা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কলসি প্রতীক নিয়ে সানজিদা আক্তার পেয়েছেন ৫ হাজার ৮০৬ ভোট।

            অন্যদিকে আলীকদম উপজেলায় এ নির্বাচনে দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে ৯ হাজার ৭০০ ভোটে মো: জামাল উদ্দিন উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীক নিয়ে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম পেয়েছেন ৭ হাজার ৫১৬ ভোট। তালা প্রতীক নিয়ে ৯ হাজার ১৪৬ ভোটে মো: রিটন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে মো: কফিল উদ্দিন পেয়েছেন ৭ হাজার ৫৪৭ ভোট। বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রজাপতি প্রতীক নিয়ে ৮ হাজার ৮৬৮ ভোটে শিরিনা আক্তার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পদ্মফুল প্রতীক নিয়ে ইয়াসমিন আক্তার পেয়েছেন ৭ হাজার ৮১২ ভোট।

            বান্দরবানে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে ৪ উপজেলায় নির্বাচন ঘোষণা করে ইসি। পরবর্তীতে বিষেশ পরিস্থিতি কারনে রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করে ইসি। বান্দরবান সদর উপজেলায় ৪৫ টি কেন্দ্রে ৭১ হাজার ৪৪৪ জন ও আলীকদম উপজেলায় ২১ টি কেন্দ্রে ৩২ হাজার ৮০৫ জন ভোটার রয়েছে। ভোট কাস্টিং হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ।

            গত ২১ মার্চ উপজেলা পরিষদ ষষ্ঠ বারে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে তফসিল ঘোষণা করেছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সারাদেশে প্রথম ধাপে ১৫২ টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৮, ২৩, ২৯ মে ও ৫ জুন ৪ টি ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে ৮ মে। ইভিএমে ভোট হবে ২২ টি উপজেলায় এবং বাকিগুলোয় ব্যালট পেপারে নির্বাচন হবে। দলীয় প্রতীক উন্মুক্ত রেখে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে। এবারে চেয়ারম্যান পদে জামানতের পরিমাণ ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করা হয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত ৫ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা।

            সারাদেশে ৪৯৫ টি উপজেলা রয়েছে। চার ধাপে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫ টির ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর পরে মেয়াদোত্তীর্ণ হলে বাকি উপজেলাগুলোয় ভোট গ্রহণ হবে। ১৯৮৫ সালে উপজেলা পরিষদ চালু হওয়ার পর ১৯৯০ ও ২০০৯ সালে একদিনে ভোট হয়েছিল। ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা নির্বাচন ৬ টি ধাপে ও ২০১৯ সালে ৫ ধাপে পঞ্চম উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম চারটি উপজেলা নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে হলেও আইন সংশোধন হওয়ায় ২০১৭ সালের মার্চে মেয়াদোত্তীর্ণ তিনটি উপজেলায় দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হয়েছিল। পরে ২০১৯ সালে দলীয় প্রতীকে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন হয়।

খবরটি 470 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন