ব্রেকিং নিউজ:

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন বেশ প্রকট আকার ধারণ করেছে। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু ভারত বিরোধী অবস্থানে অটল রয়েছেন। এতে করে মালদ্বীপ ছাড়তে হচ্ছে ভারতীয় সেনাদের।

এমন অবস্থায় চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করছে মালদ্বীপ। এমনকি এশীয় পরাশক্তি এ দেশটির সঙ্গে একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তিও স্বাক্ষর করেছে মালে। এতে করে চীন থেকে বিনামূল্যে সামরিক সহায়তা পাবে মালদ্বীপ। সোমবার (৪ মার্চ) রাতে ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি।

            এনডিটিভি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে বিনামূল্যে সামরিক সহায়তা প্রদানের জন্য চীন মালদ্বীপের সাথে একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু তার দেশ থেকে ভারতীয় সেনাদের প্রথম দলকে প্রত্যাহারের সময়সীমা নির্ধারণ করার কয়েক সপ্তাহ পরে এ চুক্তি স্বাক্ষর করা হলো। মালদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ ঘাসান মাউমুন দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করতে চীনের আন্তর্জাতিক সামরিক সহযোগিতা অফিসের ডেপুটি ডিরেক্টর মেজর জেনারেল ঝাং বাওকুনের সাথে দেখা করেন।

            এর আগে মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সৈন্যদের প্রত্যাহারে আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন ভারত মহাসাগরের এ দ্বীপ রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু। গত মাসের শুরুতে রাজধানী মালেতে ভারতের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে সৈন্য প্রত্যাহারের এ সময়সীমা বেঁধে দেন তিনি। মূলত প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর চীনে পাঁচদিনের প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর শেষে দেশে ফেরার পরপর ভারতীয় সৈন্যদের প্রত্যাহারে ওই আল্টিমেটাম দেন তিনি। পরে এ আল্টিমেটাম অবশ্য মে মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। মূলত ঐতিহ্যগতভাবে মালদ্বীপের সাথে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে ভারতের। মালদ্বীপের মোট জনসংখ্যা ৫ লাখের কিছু বেশি; যারা চাল, শাকসবজি, ওষুধ এবং মানবিক সহায়তাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর জন্য নয়াদিল্লির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।

            ১৯৯৮ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আবদুল গাইয়ুমের বিরুদ্ধে মালদ্বীপে অভ্যুত্থান চেষ্টা হয়। এ সময় অভ্যুত্থানকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করার জন্য সেনা পাঠায় ভারত। পরে কিছু দিনের মধ্যে সে সেনাদের প্রত্যাহার করে নেয় নয়াদিল্লি। কিন্তু ভারতের ওপর নির্ভরশীলতা এবং মালদ্বীপের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নয়াদিল্লির হস্তক্ষেপ দেশটিতে উদ্বেগ তৈরি করে। গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পান মোহাম্মদ মুইজ্জু। তার নির্বাচনী প্রচারণার অন্যতম অঙ্গীকার ছিল ভারত হটাও। তার আগের বেশিরভাগ প্রেসিডেন্টই ছিলেন ভারতপন্থি।

খবরটি 592 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন