আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হুথি বিদ্রোহীদের দমনে ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ হামলাকে ‘দায়িত্বহীন’ উল্লেখ করেছেন।
রাজধানী মস্কোতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে আয়োজিত সে সংবাদ সম্মেলনে মারিয়া বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের এ দায়িত্বহীন পদক্ষেপকে কঠোর নিন্দা জানাচ্ছি। ইয়েমেনে শান্তি স্থাপনের জন্য গত কয়েক বছর ধরে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। লোহিত সাগর অঞ্চলে সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি পেলে তা মুখ থুবড়ে পড়বে। এ ধরনের হামলা গোটা মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত সহিংসতা উস্কে দিতে পারে। তিনি আরো বলেন, ‘বুধবার নিরাপত্তা পরিষদে হুথিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়া এবং চীন তাতে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য একরকমভাবে জাতিসংঘের সিদ্ধান্তকে পাশ কাটিয়ে এ অভিযান চালিয়েছে। এ অভিযান ছিল তাদের জন্য একটি অবৈধ অ্যাডভেঞ্চার।
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে গত দুই মাস আগে থেকে লোহিত সাগরে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে লক্ষ্যবস্তু বানানো শুরু করে ইয়েমেনের অর্ধেক অঞ্চল নিয়ন্ত্রণকারী হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। পেন্টানগনের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই মাসে লোহিত সাগরে মোট ২৭ বার বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে হুথিরা। গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে ২০ টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। তারপর এ হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য। হামলায় ইয়েমেন এ পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যুর সংবাদ জানা গেছে। হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি এক টুইটবার্তায় জানিয়েছেন, এ হামলার সমুচিত ও কঠোর জবাব দেবে হুথি।
লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে হুথিতের হামলার জবাব দিতে ইয়েমেনে হুথিদের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন ও ব্রিটিশ সেনাবাহিনী। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর পেন্টাগনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলায় টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।