ব্রেকিং নিউজ:

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সংঘাত শুরুর আড়াই মাসের মাথায় সাংবাদিকদের প্রাণহানি এ মাইলফলক ছাড়াল। রোববার (২৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা। ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজার ৫০ টির বেশি মিডিয়া অফিস সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। টেলিগ্রামে গাজার মিডিয়া অফিস জানায়, গাজা উপত্যকায় নৃশংস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে শুজাইয়া এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় সাংবাদিক মোহাম্মদ আবু হায়েদির শহীদ হওয়ার পর থেকে নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা ১০০ জনে দাঁড়িয়েছে।

            সংবাদ মাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় আল রাই এজেন্সির ডেপুটি ডিরেক্টর আহমেদ জামাল আল মাধউনের নিহত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে গাজার কর্তৃপক্ষ। গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস অনুসারে তার মৃত্যুতে গাজায় নিহত সাংবাদিকের মোট সংখ্যা ১০১ জনে পৌঁছেছে। নিহতদের মধ্যে আল জাজিরা আরবি ক্যামেরাম্যান সামের আবুদাকা রয়েছেন। এর আগে ফিলিস্তিনি সাংবাদিক মুহাম্মাদ আবু হায়েদি গাজা শহরের পূর্বে তার বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন। তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে গাজায় নিহত সাংবাদিকদের সংখ্যা ১০০ জনে পৌঁছায়। ইসরায়েলি হামলায় নিহত সাংবাদিকদের এ সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

            ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্টের ডেপুটি জেনারেল সেক্রেটারি টিম ডসন গাজায় ‘অস্বাভাবিক বেশি সংখ্যক’ সাংবাদিক নিহত হওয়ার কথা বলেছেন। তিনি আল জাজিরাকে বলেছেন, আমরা এমন কোন সংঘাতে এতো বিপুল সংখ্যক সাংবাদিকদের মৃত্যু দেখিনি।

            সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, আল জাজিরা আরবি’র ক্যামেরাম্যান সামের আবুদাকাসহ অন্তত ৬৯ জন সাংবাদিক এ সংঘাতে নিহত হয়েছেন। ১৯৯২ সাল থেকে সংঘাতে দায়িত্ব পালনের সময় হতাহত সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহ ও পরিসংখ্যান প্রকাশ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ভিত্তিক এ সংগঠন।

            গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। তারপর এ দিন থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি বাহিনীর টানা আড়াই মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ২০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। এ নিহতদের ৭০ শতাংশ নারী, শিশু, অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর কিশোরী এবং বয়স্ক লোকজন। সে সঙ্গে আহত হয়েছেন আরও ৫২ হাজার ৫৮৬ জন এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৬ হাজার ৭০০ জন। এছাড়া কয়ে হাজার পরিবার বাড়িঘর সহায় সম্বল হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন স্কুল, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে।

খবরটি 637 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন