ব্রেকিং নিউজ:

ফিচার ডেস্ক: রাঙামাটির ভ্যালি চাকমা। বাংলাদেশের চাকমা জাতিগোষ্ঠীর প্রথম নারী ব্যারিস্টার। উচ্চ আদালতে চাকমা সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় নারী আইনজীবী। বাবার অনুপ্রেরণায় আইন পড়তে উদ্ধুদ্ধ হন তিনি। ব্যারিস্টার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধীনে আইনে ভর্তি হন। সেখান থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করে পর্যায়ক্রমে জজকোর্ট ও হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তারপর ব্যারিস্টারি পড়তে পাড়ি জমান লন্ডনে। তার বাবা জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের স্টুডেন্ট ছিল। তার বাবা ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখাত ব্যারিস্টার হয়। তার বাবার অনুপ্রেরণায় তার স্বপ্ন পূরণে আইনে ভর্তি হওয়া। চাকমা জাতিগোষ্ঠী থেকে বেশকিছু আইনজীবী হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে একজন চাকমা জাতিগোষ্ঠীর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আছে। অ্যাডভোকেট প্রতিকার চাকমা। চাকমা সম্প্রদায় থেকে ভ্যালি চাকমা সুপ্রিম কোর্টের দ্বিতীয় নারী আইনজীবী। তার আগে সুপ্রিম কোর্টে খাগড়াছড়ির একজন নারী আইনজীবী ছিল। ভ্যালি চাকমা দেশের চাকমা জাতিগোষ্ঠী থেকে প্রথম নারী ব্যারিস্টার। বাংলাদেশের চাকমা জাতিগোষ্ঠীর প্রথম ব্যারিস্টার চাকমা সার্কেলের চীফ রাজা দেবাশিষ রায়।

            ২০২২ সালের ২৫ নভেম্বর লন্ডনের লিংকন্সইন থেকে অফিসিয়ালি ব্যারিস্টারি ডিগ্রি লাভ করেন। দেশে ফিরে এসে উচ্চ আদালতে আইনপেশা শুরু করেছেন তিনি। ভ্যালি চাকমা বিয়ে করেছেন ঢাকার অধিবাসী সিভিল ইঞ্জিনিয়ার অরহণ দেওয়ানকে। নিজ সম্প্রদায়ের অসহায় মানুষকে আইনগত সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি মানুষের জন্য কাজ করতে চান, আইন পেশায় অবদান রাখতে চান উদীয়মান এ নারী ব্যারিস্টার। তার জীবনে নানা অজানা বিষয় ঢাকা পোস্টের কাছে তুলে ধরেছে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ঢাকা পোস্টের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেদী হাসান ডালিম।

            জন্ম ও পারিবারিক পরিচয়: জন্ম ১৯৯১ সালে রাঙামাটি পাবর্ত্য জেলায়। বাবার নাম কল্যাণ মিত্র চাকমা। বাবা কাস্টমসের সহকারী কমিশনার হিসেবে বেনাপোল অফিসে রয়েছে। তিন ভাই বোনের মধ্যে দ্বিতীয়। বড় বোন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করে এখন গৃহিণী। বোনের  স্বামী ইনকাম ট্যাক্সের ডেপুটি কমিশনার। ছোট ভাই নর্থ সাউথে ফার্মেসিতে গ্রাজুয়েশন শেষ করে স্বনামধন্য একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছে। ২০২১ সালের নভেম্বরের ৫ তারিখে বিয়ে করে। স্বামীর নাম অরহণ দেওয়ান, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। ঢাকার অধিবাসী। পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছে।

            পড়ালেখা ও ব্যারিস্টারি ডিগ্রি: বাবার চাকরির বদলিজনিত কারণে এক বছর বয়স থেকে খুলনায় ছিল। খুলনা সরকারী করনেশন বালিকা বিদ্যালয়ে ক্লাস সিক্স পর্যন্ত পড়াশুনা করে। এরপর  চট্টগ্রাম চলে আসে। চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ বালিকা বিদ্যালয় থেকে ২০০৬ সালে এসএসসি পাস করে। চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ থেকে ২০০৮ সালে এইচএসসি পাস করে। পরে ঢাকায় চলে আসে। ব্যারিস্টার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধীনে ভূইয়া একাডেমিতে ভর্তি হয়। ২০১৩ সালে আইনে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করে। ২০১৫ সালে এলএলএম কমপ্লিট করে ধানমন্ডির ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে। ২০১৬ সালে ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়। ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তালিকাভুক্ত হয়। তারপর ব্যারিস্টারি পড়তে ইংল্যান্ড যায়। ২০২২ সালের ২৫ নভেম্বর লন্ডনের লিংকন্সইন ইন থেকে অফিসিয়ালি ব্যারিস্টারি ডিগ্রি নিয়ে দেশে আসে।

খবরটি 702 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন