আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রতিদিন তিন বেলা খাবার খেতে পারেন না ফ্রান্সের ৩২ শতাংশেরও বেশি মানুষ। এমনকি খাদ্য ও চিকিৎসা ব্যয়ের মতো প্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। সেকোরস পপুলায়ার (পিপলস রিলিফ) নামে একটি সহায়তা সংস্থার পক্ষে পরিচালিত নতুন সমীক্ষা রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে। বৃহম্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকাশিত একটি নতুন সমীক্ষা অনুসারে ফ্রান্সে বসবাসকারী এক তৃতীয়াংশের বেশি লোক দিনে তিনবার খাবারের সামর্থ্য রাখেন না এবং খাদ্য ও চিকিৎসা ব্যয়ের মতো প্রয়োজনীয় খরচ কমাতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। ইপসোস এ গবেষণার জন্য গত ১৭ এবং ১৮ জুনের মধ্যে ফোনে ১৬ বছর বা তার বেশি বয়সী ৯৯৬ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। এর মধ্যে ৪৩ শতাংশ বলেছেন, তাদের এখন আর প্রতিদিন ফল এবং শাকসবজি খাওয়ার সামর্থ্য নেই। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ও উচ্চ দ্রব্যমূল্য ফ্রান্সে দারিদ্র্যসীমার নীচে আরও বেশি লোককে নিমজ্জিত করেছে। মোট ৫৩ শতাংশ বলেছেন, তারা এখন আর অর্থ আলাদা করে রাখতে বা জমাতে পারেন না এবং ১৮ শতাংশ মানুষের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোনও অর্থই নেই, যা আগের বছরের তুলনায় তিন শতাংশ পয়েন্ট বেশি।
সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ বলছে, সাহায্য সংস্থা সেকোরস পপুলায়ারের (পিপলস রিলিফ) পরিচালিত ইপসোস সমীক্ষায় বলা হয়েছে। ফ্রান্সের ৩২ শতাংশ মানুষ সবসময় দিনে তিনবার খাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত খাবার বা স্বাস্থ্যকর খাবারের সামর্থ্য রাখে না। বেশিরভাগ লোক খাবারের সামর্থ্য নিয়ে লড়াই করার সময় প্রথমে তাদের মাংসের ব্যবহার সীমিত করাকে বেছে নেয়। এর মধ্যে ৭২ শতাংশ বলছেন, তারা অন্তত মাঝে মাঝে মাংস খাওয়া বাদ দেন। ক্রয় ক্ষমতা ও উচ্চ মূল্য ফ্রান্সের রাজনীতিবিদ এবং জনসাধারণকে উদ্বিগ্ন করে চলেছে। ফরাসি অর্থমন্ত্রী ব্রুনো লে মায়ার বারবার খাদ্য কোম্পানিগুলোর কাছে দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন।
এছাড়া জরিপে অংশ নেওয়া মোট ৪৫ শতাংশ ফরাসি জনগণ বলেছেন, তারা তাদের চিকিৎসার জন্য কোনও ধরনের অর্থ ব্যয়ের সামর্থ্য রাখেন না, যা এক বছর সময় আগের তুলনায় ছয় শতাংশ পয়েন্টের বেশি।